পাঁচ মিনিটে সূচক বাড়ল ৮ পয়েন্ট

টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে গেছে।

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ।

সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ালে দুই শেয়ারবাজারের কর্তৃপক্ষও লেনদেন বন্ধ রাখাসহ স্টক এক্সচেঞ্জের সকল কাজ ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখে। টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে।

দীর্ঘ বিরতি দিয়ে চালু হওয়া এ লেনদেনের শুরুতে উত্থানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ্ ৪ পয়েন্ট বেড়েছে ৫ মিনিটের লেনদেনে।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬টির। আর ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪০ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬টির, কমেছে ১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে শুরু হয় খত ৮ মার্চ। ওইদিন বাংলাদেশে প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পায়।

এর প্রভাবে ৯ মার্চ শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স একদিনে রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর দফায় দফায় দরপতন হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়।

এরপরও পতন ঠেকানো না গেলে প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস (দামের সর্বনিম্ন সীমা) নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মাধ্যমে শেয়ার বাজারের পতন কিছুটা হলেও থামানো যায়।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ