পাঁচ বন্ধুসহ সন্ধায় ঢাকায় পৈাছালেন রাবির ছাত্র তরিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা তরিকুল ইসলামকে। আজ রোববার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় তরিকুলের পাঁচ বন্ধু অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

তরিকুল ইসলাম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র তিনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ঢাকায় মারধর ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পতাকা মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় রামদা, হাতুড়ি, লোহার পাইপ, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তরিকুলকে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থতা সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। ওই দিনই রাজশাহীর একটি বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকেই তরিকুলকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

বোন ফাতেমা খাতুন বলেন, একবার ডাক্তার এসে ৭টি পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। আমরা করিয়েছি। রিপোর্টগুলোও হাতে আছে। কিন্তু ডাক্তার এখনও রিপোর্টগুলো দেখেননি। ফলে কিছু বুঝতে পারছি না। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে রাতে ঘুমাতে পারছেন তিনি। সব সময় কাতরাচ্ছেন। ফলে আমরা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।

তরিকুলের এক বন্ধু বলেন, তরিকুলের শরীরের ব্যথা দিন দিন বাড়ছে। তা সহ্য করতে পারছেন না তিনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের পরামর্শে বন্ধুরা মিলে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁরা হাসপাতালের পরিচয় গোপন রেখেছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তরিকুলের শরীরের অবস্থার উন্নতি হলে অস্ত্রোপচার করা হবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য বড় অঙ্কের টাকা লাগবে। এখন পর্যন্ত সহপাঠীরা দশ টাকা, বিশ টাকা করে যে টাকা পাঠিয়েছেন, তা দিয়েই চিকিৎসার খরচ চলছে।

 

স/জি