পাঁচ বছর পর রাজশাহী ভিকটিম সেন্টারের জুথি ফিরে পেল পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৫ সাল থেকে আমেনা আখতার জুথি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্বাবধানে একটি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার সেফ হোমে থাকতো। আজ বুধবার পাঁচ বছর পর জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো। এর মূলে ভূমিকা পালন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এর কল্যাণে জুথি ফিরে পেল তার পরিবারকে।

মোসা. আমেনা খাতুন জুথি নামের ৮ বছরের মেয়েটিকে ২০১৫ সালের জানুয়ারীর কোনো এক ভোরে রাজশাহী রেলষ্টেশনে কান্নাকাটিরত অবস্থায় দেখতে পান ফেরদৗস হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি শাহমখদুম থানায় এসে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আমেনা খাতুন জুথিকে প্রেরণ করা হয় এবং পাশাপাশি তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়।

জুথি জানায়, তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী এবং বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্ট। সে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সেখানে সে মারধরের শিকার হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন সে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে করে রাজশাহী চলে আসে।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকাকালীন পরিবারকে খুঁজে না পাওয়ায় আমেনা খাতুন জুথিকে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) কে বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হয়। এসিডি’র তত্ত্ববধানে জুথি বেড়ে উঠতে থাকে। বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছর। সম্প্রতি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক পলি দাস জুথির পরিবারকে খুঁজে বের করার পুনরায় চেষ্টা করেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্ট থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে লাঙ্গলকোর্টের ওসির নির্দেশে এসআই দিবাকর রায় তার নিজস্ব ফেসবুক টাইম লাইনে জুথির সকল বিবরণ শেয়ার করেন। জুথির চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন পোস্টটি দেখার পর থানাতে যোগাযোগ করেন। পরে জুথির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মহানগর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। এতে বুধবার জুথির পরিবার মহানগর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসে। আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসি ভিএসসি সোনিয়া পারভীন, পুলিশ পরিদর্শক পলি দাস, ভিএসসি’র অন্যান্য পুলিশ সদস্যসহ জুথি ও তার পরিবার।

স/শা