সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
অন্যতম প্রধান ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজা উপত্যকায় সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানটি শুরু হয়েছিল।
এ সহিংসতায় উল্লেখযোগ্য ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, বিশেষ করে তুলকারেমে। সেখানকার গভর্নর অভিযানগুলোকে ‘অভূতপূর্ব’ ও ‘বিপজ্জনক সংকেত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, বুলডোজারগুলো শহরের রাস্তায় পিচ তুলে ফেলছে। অবকাঠামোতে, বিশেষ করে পানি ও ড্রেন নেটওয়ার্কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি’
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তুবাসের আল-ফারার শরণার্থীশিবির থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সেনা প্রত্যাহার করেছে, যেখানে বুধবার বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানের প্রথম দিনে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে অন্তত ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে ‘এই অভিযানগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা ও ‘শিশুসহ প্রাণহানির’ নিন্দা করেছেন। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই বিপজ্জনক ঘটনাগুলো অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইতিমধ্যে সৃষ্ট একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে উসকে দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে আরো দুর্বল করছে।’
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বুধবার সংকট মোকাবেলায় তার সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন। জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ সহিংসতার বিস্তার বন্ধ করতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছেন।
জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকর ইসরায়েলি সেনা বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৬৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ফিলিস্তিনি হামলায় বা সেনা অভিযানে সেনাসহ ১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ