পর্তুগাল-ওয়েলস সেমিতে রোনালদো-বেলের লড়াই

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সোনালী প্রজন্ম পারেনি। ২০০৪ এর ফাইনালে উঠেছিল তারা। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নিজের প্রথম ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ২টি গোল করেছিলেন। কিন্তু তরুণ রোনালদো ফাইনালে তাদের হার দেখেছিলেন। শিরোপার খুব কাছে গিয়েও স্পর্শ করা হয়নি সেবার গ্রীক বীরদের কারণে। তারপর দুইবার সেমিফাইনালে উঠেও হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। এবার তো সেমিফাইনালেই আরেক আনসাং হিরো দলের মুখোমুখি। ওয়েলসকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে পারবে কি রোনালদোর পর্তুগাল? আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লিওতে সেমিফাইনালের লড়াই।

এই ম্যাচ যতোটা না পর্তুগাল ও ওয়েলসের, তার চেয়ে বেশি প্রচার পেয়েছে রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের ম্যাচ হিসেবে। দুজনে বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই খেলোয়াড়। ক্লাব ফুটবলে একই দলের হয়ে খেলেন। রিয়াল মাদ্রিদের দুই সেরা তারকার একজনের বুক ভাংবে আজ। কে হবেন তিনি?

এবারের আসরের চমক ওয়েলস। সেখানে পর্তুগাল বড় দল হয়েও অনেক কষ্টে এতটা পথ এসেছে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ ছিল ওয়েলসের সবচেয়ে বড় আসর। এরপর এবারই আবার বড় কোনো আসরে তাদের খেলতে আসা। এবং প্রথমবার ইউরোতে এসেই একের পর এক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে তারা। বেলদের বীর দল দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইতিহাস লিখেছে ফ্রান্সের আসরের সেমিফাইনালে উঠে এসে। একটি ধাপ পেরোলেই স্বপ্নের শিরোপার খুব কাছে। ২০০৪ এর গ্রিস হতে পারবে তারা?

পর্তুগাল বিদায় নিতে পারতো প্রথম রাউন্ড থেকেই। সেরা তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে এসেছে। এরপর ৯০ মিনিটের খেলায় জিতে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করা হয়নি। ১১৭ মিনিটের গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসে তারা। পোল্যান্ডকে টাইব্রেকে হারিয়ে শেষ চারে। খেলা মুগ্ধতা ছড়াতে পারছে না। তারপরও ২০০৪ এর কান্নায় ভাঙা ১৯ বছরের রোনালদোর বীর গাথা লেখার শেষ সুযোগ সামনে থাকছেই। ওয়েলসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে শিরোপার সাথে স্পর্শের দুরত্ব। রোনালদো কি পারবেন হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ ইউরোতে দেশের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম বড় কোনো শিরোপা জিততে?

সূত্র: কালের কণ্ঠ