পরীক্ষায় ফেল করে প্রশ্নফাঁস চক্রে মিলন ও রাফসান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একজন এসএসসি ফেল। অন্যজন এইসএসসিতে। দুই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর তারা নিজেদের জড়িয়েছে প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে।

এ পেশায় যোগ দিয়ে তারা এরই মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। তাদের একজনের নাম মিজানুর রহমান মিলন এবং অন্যজন রাফসান চৌধুরী।

শনিবার র্যাব-১ এর আভিযানিক দল রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মোবাইলফোন বিশ্লেষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে ধৃত আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।

র‌্যাব জানায়, আসামী মিজানুর রহমান কুড়িগ্রাম থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। এরপর ২০১৫ সাল থেকেই সে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িয়ে পড়ে।

২০১৫ সালে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন লোকজনে কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

প্রতারণার সময় মিজান নিজেকে ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মচারী বলে পরিচয় দেয়। বকশিবাজার এলাকায় বসবাস করে বলেও জানায়।

মিজানের প্রশ্ন ফাঁসের প্রক্রিয়ার বিষয়ে র্যাব জানায়, সে প্রথমত একাধিক একাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবে বলে আগাম বিভিন্ন পোষ্ট দেয়। এজন্য অগ্রিম টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয়।

মিজান কাউকে কাউকে আগের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাটছাট করে সরবরাহ করতো। আবার মাঝে মাঝে ফেসবুকের বিভিন্ন লিংক থেকে প্রাপ্ত প্রশ্নপত্র নিয়ে তা সরবরহ করতো। প্রশ্নপত্র বাবদ সে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। প্রশ্নপত্র সরবরহের নামে এ পর্যন্ত আনুমানিক ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সে জানায়।

র‌্যাবের কর্মকর্তা লে. কর্ণেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, গ্রেফতারকৃত রাফসান চৌধুরী এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকেই তার এক বন্ধুর মারফতে এ পেশায় নিয়োজিত হয়।

সে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করে। সে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক ৪ লাখ টাকা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রাফসান ২০১৬ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। সাত মাস জেল খেটে সে জামিন পায় বলে র্যাবকে জানিয়েছে। যুগান্তর