পরিযায়ী পাখিদের বাঁচাতে যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলা বন্ধের আহ্বান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহ শিকার শুধু পরিযায়ী পাখিরাই হবে না। এ দূষণের কারণে দেশে মাটি পানি পরিবেশ মানুষের জন্য ব্যবহার অযোগ্য হয়ে উঠবে। আর এজন্য প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিযায়ী পাখিদের বাঁচাতে যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলার ব্যাপারে সর্তক হতে হবে, করতে হবে সবাইকে সচেতন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বন অধিদফতর প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি, আইইউসিএন, ন্যাচার কনজারভেশন সোসাইটি, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেমিনারে বক্তারা এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।

প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ছিলেন প্রধান অতিথি।

বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির, প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. গুলশান লতিফ আরা, আইইউসিএনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. রাকিবুল আমিন, মুকিত মুকিত মুজুমদার বাবু, নেচার কনজারভেশন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অসিত রঞ্জন পাল। সভাপতিত্ব করেন উপপ্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে পরিযাযী পাখির ওপর তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়ামুল নাসের বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখি পর্যবেক্ষক এবং গবেষক ইনাম আল হক।

উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, সবাইকেই প্লাস্টিক বিশেষ করে পাতলা বা ভাসমান প্লাস্টিক যেন যেখানে সেখানে ফেলে না দেয়া হয় সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্ত্রী জানান, তিনি তার এলাকায় জেলেদের একটি করে ড্রাম দিয়েছেন যেন সাগরে মাছ মারতে গিয়ে কোনো ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য পেলে তা ওই পাত্রে জমিয়ে রাখে। কিংবা সাগরে ভাসমান প্লাস্টিক বোতল ভেসে যেতে থাকলে তা যেন তুলে ওই পাত্রে জমা করে রাখেন।

তিনি বলেন, তার এ উদ্যোগ খুবই সামান্য কিন্তু এভাবেই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করবে।

সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, পরিযায়ী পাখিদের সংরক্ষণের জ্ঞান ও সচেতনতায় সবাইকে কাজ করতে হবে। পরিযায়ী পাখিরা জীব-বৈচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদের রক্ষায় ও নিরাপত্তা দিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।