পরিবহন বিপর্যয় রাজধানীতে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

বিকল্প ব্যবস্থা না করে মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীতে লেগুনা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে রাজধানীবাসী। গতকাল বুধবার নগরীর প্রায় সব রাস্তায় শত শত যাত্রী রোদ মাথায় দাঁড়িয়ে বাস বা অন্য বাহন ধরার তীব্র প্রতিযোগিতায় ছিল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর পুলিশ ফিটনেস ও বৈধ কাগজপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামায় রাজধানীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে গত কিছুদিনে। এ অবস্থায় যাত্রীতে ঠাসা বাসগুলোতে তীব্র ঝুঁকি নিয়ে ওঠার কসরত করতে দেখা যায় অনেককে। মূল সড়কের বাইরের রাস্তাগুলোতে বাস চলতে না পারার কারণে লেগুনাই ছিল এই দূরত্বে পৌঁছানোর অন্যতম বাহন। এসব কারণে গতকাল সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়ে নারী ও শিশুরা। বাসে চাপাচাপি এড়াতে তারা এত দিন লেগুনাকে ভরসা করেই চলছিল।

ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা না করে সরকার তাদের ‘হিতে বিপরীত’ অবস্থায় ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে তো বাস বাড়ানো, সড়কের ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে, তারপর এ ব্যবস্থা। গণপরিবহন হিসেবে বাস কম থাকায় বিকল্প হিসেবে লেগুনা যাত্রীদের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছিল। ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতেও কি শিক্ষার্থী, কি অভিভাবক, কি শ্রমিক সবার ভরসা হয়ে উঠেছিল লেগুনা।

মহাসড়কে লেগুনা চলাচলের কারণে প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় লেগুনা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশ গত মঙ্গলবার লেগুনা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর প্রায় ২০০ রুটে লেগুনা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গতকাল জোর কদমে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নিশাত। ঘাম ঝরছিল কপাল আর শরীর বেয়ে। তিনি বলেন, ‘ফার্মগেটে আড়াই ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর কোনো বাস পাইনি। লেগুনাও চলছে না। হঠাৎ লেগুনা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। সময় বেঁধে দিয়ে, নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিয়ে আপাতত চলতে দেওয়া উচিত।’

রহমত উল্লাহ মতিঝিলে মাছ বিক্রি করেন। বাসাবো এলাকায় তাঁর বাসা। গতকাল দুপুরে দৈনিক বাংলার মোড়ে এসে পড়েন বিপদে। বাসাবোয় যাওয়ার জন্য সেখানে একটিও লেগুনা নেই। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এই রম তো কোনো দিন অয় না। লেগুনা দিয়াই বাসাবো থাইকা আসা-যাওয়া করি। আইজ সকালে রিকশা দিয়া আইলাম। অহন বাসায় ফিরতে আইয়া দেহি লেগুনা নাই। রিকশা দিয়া গেলে তো অনেক ভাড়া লাগব!’ ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমগো তো গাড়ি নাই। রিকশা-সিএনজি দিয়া চলার ক্ষমতাও নাই। লেগুনা দিয়া কম ভাড়ায় যাতায়াত করতাম। সেইডা বন্ধ কইরা দিলে আমগো চইলবো কেমনে!’ ওই সময় রহমত উল্লাহর মতো আরো অন্তত ২০-৩০ জন লোককে লেগুনা খুঁজতে দেখা গেল দৈনিক বাংলার মোড়ে। হঠাৎ লেগুনা বন্ধে তাদের কণ্ঠেও প্রবল ক্ষোভ।

গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, গাবতলী, কল্যাণপুর, মিরপুর-১ নম্বর ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সবার কণ্ঠেই শোনা গেছে ক্ষোভের কথা।

গতকাল বিকেলে কল্যাণপুরে দেখা গেছে শত শত যাত্রী লেগুনার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু লেগুনা নেই। দুপুর ১টার দিকে গুলিস্তানের কাপ্তানবাজার এলাকায় দেখা গেছে, সেখানে একটিও লেগুনা নেই। অন্য দিন সেখানে অন্তত অর্ধশত লেগুনা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, মগবাজার, বাড্ডা এলাকায় দেখা গেছে অন্য দিনের তুলনায় বাসের সংখ্যাও কম। বাসচালক ও হেলপাররা জানায়, পুলিশের অভিযানের ভয়ে অনেকে পুরনো গাড়ি নামায়নি। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা গেছে।

লেগুনা বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সচিব) মো. সফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লেগুনা অবৈধ গাড়ি। মাইক্রোবাস কেটে এগুলো বানানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলোর কারখানা আছে। বহু আগেই এগুলো সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়েছে। মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই মহাসড়কে এগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কঠিন সিদ্ধান্তের কারণে জনগণকে একটু দুর্ভোগ মেনে নিতে হবে। এতে অবৈধতা প্রাণনাশের কারণ হবে না।’ সময় বেঁধে দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল—এমন মতামতের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে বহুবার সময় দেওয়া হয়েছিল। কোনো ফল হয়নি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লেগুনাকে ঢাকার উপসড়কে চলতে দিতে হবে। কারণ বিভিন্ন অলিগলি পর্যন্ত লেগুনা ঢুকতে পারে। বাস বা মিনিবাসের মাধ্যমে সেভাবে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয় না। বাসের বিকল্প হিসেবে এ ধরনের বাহন ঢাকার মিরপুর থেকে গুলশান, মহাখালী, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর, ফার্মগেট থেকে নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করত। যেখানে বাসে যাত্রীদের ঠেলে নারীরা উঠতে পারত না, সেখানে লেগুনায় তারা উঠতে পারত।’

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মতে, ‘লেগুনা হঠাৎ করে নিষিদ্ধ হলে তা বাস্তবায়ন কঠিন। মানুষ বিকল্প বাহনের অভাবে বড় বেশি দুর্ভোগে পড়বে। আমরা লেগুনা চলাচল বন্ধের পক্ষেই। তা বন্ধ করার আগে যাতায়াতের বিকল্প বাহনের ব্যবস্থা দরকার। রুট ফ্রাঞ্চাইজির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কম্পানির আওতায় গণপরিবহন নিশ্চিত করা জরুরি।’ বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে হঠাৎ করে লেগুনা বন্ধে বিপর্যয় নেমে এসেছে মন্তব্য করে দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অংশীজনদের মতামত না নিয়ে এভাবে হুট করে আগেও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তা বেশিদিন টেকেনি।’

দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে কৃতিত্ব নিতে বা চাপে পড়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। অথচ পুলিশের চোখের সামনেই এত দিন এ ধরনের বাহন চলেছে। পুলিশের পরিবহন চাহিদাও মেটাচ্ছে লেগুনা।’

তবে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানের মতে, পুলিশ যদি লেগুনা বন্ধ করতে চায় করুক। গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা এ উদ্যোগ নিতেই পারে।

ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঢাকায় বড় বাস নামাতে হবে। এগুলো বিভিন্ন কম্পানি ভিত্তিতে চলাচল করবে। কোনো ধরনের চুক্তিতে চলবে না। এ জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের ৪০০০ বাস নামানো ও কম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে অভিযান চালানো বা কোনো কিছু বন্ধ করলে বিপর্যয় তো হবেই। আসলে সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতা লাগে। কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য হঠকারী সিদ্ধান্ত মানুষকে বিপদে ফেলে।

জানা গেছে, পরিবেশদূষণের কারণে ২০০২ সালে ঢাকা থেকে তিন চাকার ৪০ হাজার অটো টেম্পো তুলে দেওয়া হয়। বিকল্প হিসেবে নামানো হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কমসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা। বিআরটিএর গত জুলাই মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা আছে প্রায় ১৩ হাজার। তবে এর ৮০ শতাংশই চলাচলের অনুপযুক্ত। সরকার ঢাকায় পাঁচ হাজার নতুন সিএনজি অটোরিকশা নামানোর উদ্যোগ নিলেও তা ১০ বছর ধরেই পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে।

ঢাকার পরিবহন নেতা ও যাত্রীরা জানান, ২০০২ সালে টেম্পোর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পরিবেশবান্ধব হিসেবেই লেগুনা (হিউম্যান হলার) চলাচল শুরু করে। ঢাকা মহানগরীতে আরটিসি প্রায় ১৫৯টি রুটে এ ধরনের গাড়ি চলাচলের অনুমোদন দেয়। তবে অনুমোদনের বাইরেও আরো ৪১টি রুটে লেগুনা চলাচল করছিল।

বাংলাদেশ অটোরিকশা অটো টেম্পো পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রেজাউল ইসলাম   বলেন, ‘ঢাকায় চলাচলরত লেগুনা বা হিউম্যান হলার পূর্বঘোষণা ছাড়াই চলাচল বন্ধের ফরমান জারি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার। তিনি মেট্রো আরটিসির চেয়ারম্যানও। হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে পরিবহন খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এটা হঠকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পুলিশ প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিতে পারত।’

বাংলাদেশ অটোরিকশা অটো টেম্পো পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় গিয়ে জানতে চেয়েছি কেন হঠাৎ পূর্বঘোষণা ছাড়াই লেগুনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলো। আমরা দুই হাজার চালক ও মালিক সেখানে উপস্থিত হই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে আমাদের সংগঠনের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত ও যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ভিআইপি সড়ক বাদ দিয়ে ফিডার রোডে লেগুনা চলতে পারবে। তবে পুলিশি আতঙ্কে চালকরা রাস্তায় বের হচ্ছে না।’

জানা গেছে, প্রয়োজনীয় বাসের অভাবে পুলিশও অভিযান চালানোসহ বিভিন্ন কাজে লেগুনা ব্যবহার করে আসছে। দেখা গেছে, পুলিশ লাইসেন্সহীন চালকের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে লেগুনায় চলাচল করেছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার মতো মেগাসিটিতে যেখানে যাত্রী পরিবহনের গণপরিবহন সংকট চরমে, সেখানে হঠাৎ লেগুনা বন্ধের মতো ঘোষণা হঠকারীই।

ঢাকায় বিআরটিএতে নিবন্ধিত বাস ও মিনিবাস আছে প্রায় ৩৯ হাজার ৬৬০টি। এর মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে চলত প্রায় আট হাজার। বাকিগুলো বিভিন্ন কারণে ঢাকার বাইরে চালানো শুরু হয়েছিল। অনেক বাস মহানগরীতে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর পুলিশ ও বিআরটিএ অভিযান শুরু করে আট হাজার বাস ও মিনিবাসের প্রায় অর্ধেকের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এগুলোর বৈধ চালক নেই কিংবা গাড়ির বৈধ কাগজপত্রও নেই।  অভিযানের ফলে এখন প্রায় ৪০ শতাংশ বাস ও মিনিবাস রাস্তায় চলাচল করছে না বলে বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, গতকাল সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বেশ তৎপরতা দেখা গেছে। দুপুরে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় রোভার স্কাউটদের যানবাহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। রোভার স্কাউটদের কয়েকজন কালের কণ্ঠকে জানায়, সড়কে ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে। মতিঝিলে বিশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ফুটপাতের দোকানকে দায়ী করে তারা।

রোভার স্কাউটদের সঙ্গে কথা বলার সময় দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বেস্ট ট্রান্সপোর্ট কোং লি. নামের ১৫ নম্বর একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯৬৬৫) এসে দাঁড়ায় সোনালী ব্যাংকের পাশে। সেখানেই যাত্রীরা ওঠানামা শুরু করে। এ দৃশ্য দেখে দুজন রোভার স্কাউট দৌড়ে যায় বাসের কাছে। চালককে জানায়, নির্দিষ্ট স্টপেজে গিয়ে বাস থামাতে হবে। দেখিয়ে দেয় মতিঝিলে পাঠ্যপুস্তক ভবনের উল্টো পাশের রাস্তায় সেখানকার বাস স্টপেজ।

রাজধানীর দনিয়া কলেজের ছাত্র রোভার স্কাউট আবদুল আজীজ   জানান, গতকাল তাঁরা ৩০ জন রোভার স্কাউট মতিঝিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী এক মাস তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন। আজীজ আরো জানান, মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।

তবে বাসচালক ও হেলপারদের বক্তব্য অন্য রকম। ১৫ নম্বর বাসের এক চালক রাশেদ   জানান, তাঁরা যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর-১০ পর্যন্ত বাস চালান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সোনালী ব্যাংকের পাশে রাস্তায় বাস থামানোর কারণে সেটিই স্টপেজ হিসেবে গণ্য হয়ে গেছে। নতুন করে স্টপেজ করায় যাত্রীদের পাশাপাশি তাঁদেরও সমস্যা হচ্ছে। তাঁরা ঠিকমতো বুঝতেই পারছেন না আসলে স্টপেজ কোনটা। ফলে আগে যেখানে যেখানে বাস থামাতেন, সেখানে সেখানেই থামানোর চেষ্টা করেন।