পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী রেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর প্রতিটি বাসস্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষামাণ যাত্রীদের ভিড়।বাস না পেয়ে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা ও সিএনজিতে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে।তবে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল। আর তাতে লোকজন রেলস্টেশনের দিকে ছুটছেন যাত্রীরা।তাই চাপ বেড়েছে রাজশাহী রেল স্টেশনে।

শনিবার (৬ অক্টোবর) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ও টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

যাত্রী বেশি হওয়ায় অনেকেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কিনতে পারছেন না।আবার টিকিট পেলেও ট্রেনে উঠতে পারছেন না অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে।

স্টেশনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় স্টেশনে যাত্রী বহুগুনে বেড়েছে।

যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রেনে যেতে হচ্ছে।অনেক কষ্ট করে তারা টিকিট পেয়েছেন এখন ট্রেনে উঠতে পারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

ঢাকা যাওয়ার জন্য পরিবার নিয়ে রাজশাহী রেল স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন মিনহাজ রহমান, তিনি জানান জরুরি প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে। কিন্তু টিকিট পাইনি।এখন কিভাবে যাব তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে একটি এনজিওতে কর্মরত মকবুল হোসেন জানান, দেশের বাড়ি খুলনায় মা অসুস্থ।তাই বাড়ি যেতে হবে। দিগুন ভাড়া দিয়ে গোদাগাড়ী থেকে রাজশাহী রেল স্টেশনে এসেছি। ট্রেনের টিকিটও পাইনি।তাছাড়া এত মানুষের ভিড় ঠেলে ট্রেনে উঠতে পারব কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।তিনি বলেন, যেভাবে ধর্মঘট চলছে মনে হচ্ছে দেশের অভিভাবক বলতে কেউ নেই।দুদিন হয়ে গেল কেন সরকার এটার কোন সমাধান করছেন না? মানুষকে কেন এত ভোগান্তি দিচ্ছেন।

স্টেশনে আসা অনেক যাত্রী এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সরকারের উচিত জ্বালানি তেলের দাম কমানো। তানা হলে সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে।তারা এটার দ্রুত সমাধান দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

জেএ/এফ