পরিচ্ছন্নতায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে রাজশাহী কলেজের এক ঝাঁক তরুন-তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাক:

অবশেষে দীর্ঘদিন অপরিচ্ছন্ন থাকা রাজশাহী কলেজের ফটক সহ সম্মুখ ভাগ পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিলো রাজশাহী কলেজের অ্যাকটিভ সিটিজেন ১০৩ নং ব্যাচের সদস্যরা। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অ্যাকটিভ সিটিজেন প্রকল্পের আওতায় ও সিসিডি বাংলাদেশের আয়োজনে চার দিন ব্যাপী  অ্যাক্টিভ সিটিজেনস ইয়্যুথ লিডারশীপ ট্রেইনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেন রাজশাহী কলেজের ৩০ জন শিক্ষার্থী।

প্রশিক্ষনের পর অ্যাক্টিভ সিটিজেন ব্যাচ নং ১০৩ এর পক্ষ থেকে সোশ্যাল এ্যাকশান প্রজেক্ট (স্যাপ) হিসেবে রাজশাহী কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তা ও ছোট নর্দমাটি পরিষ্কার করার ও জনগণের মাঝে পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনামূলক একটি ইভেন্টের আয়োজন করেন তারা।

‘স্মাইলিং ইনভাইরনমেন্ট’ শিরোনামে ইভেন্টটি শুরু হয় সকাল ১১টায়। তবে মূল ইভেন্ট শুরুর পূর্বেই সকাল ৯টায় রাজশাহী কলেজের সামনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শুরু করেন এসব শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী কলেজকে অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক, উভয়ভাবেই পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই সোস্যাশ অ্যাকশন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন বলে জানান তারা।

এসময় উপস্থিত সি.সি.ডি. বাংলাদেশ এর যুগ্ম পরিচালক শাহানা পারভীন বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন একটি উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে সবার কাছে প্রমান করে দিলো তারা রাজশাহী কলেজের যোগ্য উত্তরসূরী।

অ্যাকটিভ সিটিজেন ১০৩ নং ব্যাচের কমিউনিকেটর ফাতেমাতুজ্জোহরা মিম তাদের এই আয়োজন সম্পর্কে সিল্কসিটি নিউজকে জানান, “রাজশাহী কলেজের সম্মুখভাব দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের অসচেতনতা ও আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতন করা সম্ভব হলেও বহিরাগত বা কলেজের সামনের সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতন করা সম্ভব ছিলোনা। তাই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগনকেও সচেতন করার লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন।”

শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনেরর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সংগত কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

অসুস্থ থাকা সত্বেও অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় তদারকিতে ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান।

আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল-ফারুক চৌধুরী,ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিক,আরো বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ,রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আয়োজনে অ্যাকটিভ সিটিজেনের রাজশাহী কলেজের অন্যন্য ব্যাচের সদস্যসহ অ্যাকটিভ সিটিজেনের প্রশিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আল-ফারুক চৌধুরীর বক্তব্যের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

স/অ