সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
২০১৫ সালে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইরান। চুক্তি মোতাবেক স্বল্প মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে দেশটি। ইরান ইতিমধ্যেই মজুদকৃত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ৩০০ কেজির সীমা অতিক্রম করেছে বলে সোমবার নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কয়েকজন পরিদর্শক।
গত মে মাস থেকেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান। এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটি পারমাণবিক বোমা উৎপাদনেও লেগে থাকে। এছাড়া ইরানের এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে চুক্তি থেকে সরে যাওয়া ও দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা পুনঃবহালের ফল হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
এর আগে মে মাসের প্রথম দিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেছিলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্য দেশে বিক্রির পরিবর্তে সংরক্ষণ করবো। এবং আগামী ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করবো।’
এদিকে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে ইরানকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের কৌশল অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের ওপর থেকে বিভিন্ন ধরনের অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে ইরানকে দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন এবং দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ারও কথা ছিল। বলা হয়, জ্বালানি তেলসহ ইরানের বিভিন্ন পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিনা বাধায় বিক্রি করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে দেশটি। এতে চুক্তিটি প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে।