জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বিয়ে করেছেন বৃহস্পতিবার। কনে শাম্মা দেওয়ান অপূর্বের তৃতীয় স্ত্রী। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় স্ত্রীও নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এরপর এ বছর বিয়ে করেন অদিতি। তবে বুধবার অদিতির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস অপূর্বের নতুন বিয়েকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। অদিতির ওই স্ট্যাটাস বলে,ম অপূর্ব শাম্মার সঙ্গে চার বছর ধরে প্রেম করছেন। এমন ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে ফোনে প্রথমে স্ট্যাটাস মুছে ফেলার অনুরোধ পরে হুমকি পান অদিতি। এই বিষয়টিও লিখেছেন।
অপূর্বের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পেছনে শাম্মা দেওয়ানের উপস্থিতি মূখ ছিল বলে অদিতির স্ট্যাটাস থেকে বোঝা যায়। এই নিয়ে দেশের শোবিজ অঙ্গনই শুধু নয়, ভক্ত ও নাটকের দর্শকদের নিকট বিষয়টি মুখরোচক ছিল। তবে গত রাতে অপূর্ব একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে শাম্মার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না বলে জানান। অপূর্ব বলেন, ‘আমার এবং শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু অমুলক মন্তব্য আমার নজরে এসেছে যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।’
আদতে এটা কারো মন্তব্য ছিল না। এটা অদিতি অর্থাৎ অপূর্বের সাবেক স্ত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে আসা কথা যেটা গণমাধ্যম হয়ে মানুষের নিকট সহজে পৌছে যায়। এদিকে অদিতি এই স্ট্যাটাসের কারণে অপূর্ব ভক্তদের লক্ষ্যে পরিণত হন। যারা অদিতিকেই পরকীয়ায় যুক্ত হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছিলেন। কিন্তু অদিতিতার বিয়ের আবহ পরিস্কার করে কালের কণ্ঠকে বক্তব্য দিয়েছেন বুধবার।
তবে অপূর্ব নিজেও তার সাবেক স্ত্রীকে এমন অপবাদ দিতে চান না। তিনি বললেন অদিতি পরকীয়ায় যুক্ত ছিলেন না। অপূর্ব বলেন, ‘আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাঁকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। আমি এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে এই ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা। আমাদের সবাইকে আপনারা আপনাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় রাখবেন। ভালোবাসা রইল।’
স্ট্যাটাসের শুরুতেই অপূর্ব বলেন, আমার সমস্ত ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। শাম্মা দেওয়ান, আমার স্ত্রী, তাঁকে নিয়েই আমার এই যাত্রা। আমার এই নতুন জীবনের শুরুতে আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে। কিন্তু আমার এবং শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু অমুলক মন্তব্য আমার নজরে এসেছে যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।
অদিতির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার এবং আয়াশের মায়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে যদিও তা গণমাধ্যমে পরে প্রকাশিত হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এই বিষাদময় অধ্যায়ের পর সময় নিয়েছি, ভেবেছি এবং নিজ নিজ পরিবারের সাথে আলাপেও গেছি। আমরা দু’জনই প্রাপ্ত বয়স্ক। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমাদের নিজেদের জীবন পথ বেছে নিয়েছি।’
অদিতির পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, তবে আমি খুবই দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি, আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাঁকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। আমি এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে এই ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা। আমাদের সবাইকে আপনারা আপনাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় রাখবেন। ভালোবাসা রইল…
এর আগে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। যদিও এর পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের। ওই বছরের ১৪ জুলাই অপূর্ব পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
