পবিত্র আশুরা ১০ সেপ্টেম্বর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে শনিবার ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মহররম মাস, হিজরি নতুন বর্ষ। সে হিসাবে ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

সভায় তিনি জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪১ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আশুরা পালিত হবে।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. খলিলুর রহমান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. জহির আহমদ, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফায়জুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আলমগীর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহ মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবদুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি নেয়ামত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মাহর জন্য তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। হিজরি ৬১ সালের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন।

কারবালা প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদাতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত পালিত হয় আশুরা। কারবালার ঘটনা ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা অসংখ্য তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে।

এই দিনে মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে। তাদের পশ্চাদ্ধাবনকারী ফেরাউন সদলবলে নীল নদে ডুবে যায়। এমন আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে।

এ ছাড়া পৃথিবীর সৃষ্টি, হজরত আইয়ুব (আ.)-এর কঠিন পীড়া থেকে মুক্তি, হজরত ঈসার (আ.) আসমানে জীবিত অবস্থায় উঠে যাওয়াসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে মহররমের ১০ তারিখ অবিস্মরণীয় ও মহিমান্বিত হয়ে আছে।

পৃথিবীর মহাপ্রলয় বা কিয়ামতও মহররমের ১০ তারিখে ঘটবে বলে বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে।