পবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ভূগরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে
ইটের গাথুঁনি দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে রোববার (১৭ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, নওহাটা পৌর কাউন্সিলর আবু সফিয়ান প্রমুখ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৫/২০ জন শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষক বিদ্যালয়ের সামনে বসে আছেন। তারা বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সীমানা প্রাচীরের জন্য প্রবেশ করতে পারছেন না। এ নিয়ে জমির মালিক ও বিদ্যালয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুন নেসা সাথে কথা বললে তিনি জানান, সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিদ্যালয়েও ঈদের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের ছুটি আজকে শেষ হলে আমরা এসে দেখতে পাই আমাদের স্কুলের সামনে ইটের গাথুঁনি দিয়ে স্থায়ীভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ফলে আমরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমাদের সামনের দিন কি হবে কিংবা আমাদের স্কুলের রাস্তা টা আমরা কিভাবে ফিরে পাবো তা নিয়ে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ দুঃচিন্তায় আছি। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে পবা উপজেলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অবগত করেছি।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল জব্বারের ছেলে পলাশের নেতৃত্বে এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। আসলে বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি পলাশের জমির ওপর দিয়ে। ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে।

পাশের জমির মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে দেওয়াল দিয়েছি। প্রাচীরটি একই সাথে দেওয়ায় আমার নামটি এসেছে। এখানে স্কুলের সাথে আমার জমির কোন সম্পর্ক নেই। পাশে যতটুকু জায়গায় আমার ছিলো সেই ততটুকু জায়গাতেই প্রচীর দেওয়া হয়েছে।

পবা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন আর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অবৈধ। এই কাজে যারা জড়িত আছে সঠিক তদন্ত করে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি এবং এই সমস্যার অতি দ্রুত একটি ইতিবাচক সমাধান আশা করছি।

পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার বলেন, আমি নিজে সরজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এখানকার মূল সমস্যাগুলো কি কি তা খতিয়ে দেখছি। আমি দু’পক্ষ কে নিয়ে একসাথে বসে সুষ্ঠ সমাধান হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। আশা করছি এই সমস্যার একটা সুষ্ঠ সুন্দর সমাধান হবে এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তারা পূর্বের ন্যায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

এস/আই