পবায় ছাত্রলীগের দুই কমিটি, বাড়ছে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পবা উপজেলা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা নিয়ে চলছে উত্তেজনা। একই উপজেলায় দুই কমিটি কিভাবে গঠন করা হলো-তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। গত শুক্রবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অথচ চার বছর আগের কমিটি এখনো বহাল রয়েছে। ওই কমিটি বিলুপ্তি না করে নতুন করে দেওয়া হয়েছে দুই সদস্যের কমিটি।

নতুন এ কমিটির বিপক্ষে প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন আগের কমিটির নেতাকর্মীরা। গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই নিয়ে পবা উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহী নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সামিউল ইসলাম।

এতে বলা হয়, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের চলমান কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই গত শুক্রবার দুই সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ফরিদুল ইসলামকে সভাপতি ও রেজাউনুল করিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

নবঘোষিত এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। গত শুক্রবার তাদের স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে,‘ আগামী এক বছরের জন্য রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত পবা উপজেলার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো’।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নতুন নেতাদের মধ্যে ফরিদুল ইসলামের ছাত্রত্ব নেই। তার বিরুদ্ধে কাটাখালী পৌরছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রশিবিরের কর্মীকে ঢোকানোর অভিযোগ রয়েছে। তার পরিবারের সকল সদস্যই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদকের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব থাকলেও তিনি রাজশাহী নগরের সিটি হাটের খাজনা আদায়কারী হিসেবে কর্মরত।

সংবাদ সম্মেনে উপস্থিত আগের কমিটির সভাপতি আয়নাল হক বলেন, তারা সম্মেলন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। তাদের সেই সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ করে কেন্দ্র থেকে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারা অনেকবার জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে একটি সম্মেলন করার জন্য তারিখ ঘোষণার জন্য বলেছেন কিন্তু তারা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না করে কমিটি ঘোষণা করেছেন। এখন তারা বুঝতে পারছেন না যে, তারা কমিটিতে আছেন নাকি সাবেক হয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নতুন কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, কমিটি দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে থাকে। তার ছাত্রত্ব এখনো রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা সব দেখেশুনেই কমিটিতে সই করেছেন। তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে আরও যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ক্ষোভের কারণে করা হয়েছে। এগুলো সত্য নয়।
স/আর