পবায় খরা ও পানি সাশ্রয়ী রবিশস্যের মাঠ দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের তেুলিয়াডাঙ্গা গ্রামে বরেন্দ্র অঞ্চলের বিলুপ্ত প্রায় তিসি, যব, জাউন, বাকলা কালাই, গুজিতিল,খেসারীসহ মশুরের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

 

বেসরকারী উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহায়ক ভূমিকায় তেতুলিয়াডাঙ্গা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সংঘের কৃষক কৃষাণীর নেতৃত্বে বরেন্দ্র অঞ্চলের কমপানি নির্ভর শস্যফসেলর চাষাবাদ করার লক্ষ্যে ১০ জাতের রবিশস্যের পরীক্ষণ প্লটের মাধ্যমে উক্ত জাতগুলোর চাষ করা হয়।  এ  ১০ টি জাতের মধ্যে তিসি, গুজিতিল, বাকলা কালাই, খেসারী, মশুর, কুসুম ফুল অত্যন্ত আশানুরুপ ফলাফল দিয়েছে বলে জানান পরিচালনাকরী কৃষকগণ।

 

পরিচালনাকারী কৃষক জিন্নাত আলী বলেন- পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া জাতগুলোতে রোগ পোকার আক্রমণ কম ছিলো, একই সাথে পানির ব্যবহার লাগেনি। এই জাতগুলো ১০-১৫ বছর আগে বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষ করা হতো। নানা কারনেই তা বিলুপ্তীর পথে। দিনাজপুর এবং গাইবান্ধার কৃষকদের কাছ থেকে বারসিকের সহায়তায় বীজ এনে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়। তিনি বলেন, ফসল ভালো হওয়ায় আমরা আগামীতে এই জাতগুলো চাষ করবো।

কৃষক আফজাল হোসনে (৩৮) বলেন, এই জাতগুলো অনেক খরাসহনশীল ও ফসল চাষে খরচও কম , বাজারে এইগুলোর চাহিদাও বেশী থাকায় আমরা আহ সিদ্ধন্ত নিয়েছি আগামীতে এগুলোর চাষ করবো ।

 

মাঠ দিবসে পরীক্ষণ প্লটের প্রধান পরিচালনাকারী কৃষক জিন্নাত আলী ফসলের রোগ পোকা এবং উৎপাদন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন।

 

তিনি বলেন, একদিকে যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের আঞ্চলিক অভিঘাত বরেন্দ্র অঞ্চলে দৃশ্যমান অন্যদিকে মনুষ্য উন্নয়ন দুর্যোগেও কৃষকসহ নানা পেশাজিবির মানুষ পর্যদুস্ত। বিভিন্ন কারনে কৃষকরা যখন এলাকা উপযোগী শস্য ফসলের জাতগুলো হারিয়েছে তেমনি কৃষক নেতৃত্বে কৃষি ব্যবস্থার দুর্বলতার কারনে কৃষক ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। পানি সংকটাপন্ন বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্যে উক্ত জাতগুলো অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

 

এ সসময় উপস্থিত ছিলেন, তরুণ সংগঠক সোহেল রানা,কৃষক আফজাল হোসেন, সমাজ সেবক আক্তর, বারসিক এর কর্মসূচী সহায়ক ব্রজেন্দ্র নাথ, সুলতানা খাতুনসহ প্রমুখ।

স/শ