পদ্মা-গড়াই’র সংসার..!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সঙ্গী সবার জীবনে এর ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। সেটা ভালোবাসার সঙ্গী বা জীবন সঙ্গীও হতে পাড়ে। একাকি বসবাস বা থাকা অনেকটাই কষ্ট কর। কারো সঙ্গী কাছে থাকার এক অনুভূতি, আবার দূরে গেলে সেটার অন্য অনুভূতি। সব মিলে পাওয়া আনান্দের থেকে না পাওয়ূার কষ্টটাই মনের ভেতরে অনেক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। আবার সেই পাওয়াটাই যদি মনের মতো হয় তাহলে তো কথাই নেই……

বলছিলাম রাজশাহী রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার এক ঘড়িয়ালের কথা। তাদের দুই বোনকে প্রায় ২৮ থেকে ৩১ বছর আগে পদ্মা নদী থেকে ধরে জেলেরা। তার পরে দীর্ঘ সময় কাটে এখানে। তারা দুজনই নারী তাদের পুরুষ সঙ্গী ছিলো না। তাই তারা বংশবিস্তার করতে পারেনি। অবশেষে একজনকে নেওয়া হলো ঢাকায়। অপর জনের সেই সঙ্গী টাও যেনো হারিয়ে গেলো। তার দুই-তিন দিনের মাথায় নিয়ে আসা হলো তার প্রকৃত পৃরুষ সঙ্গীকে।

মজার বিষয় হচ্ছে, তাদের নাম রাখা হয়েছে নারীটির ‘পদ্মা’। আর পুরুষটির নাম দেয়া হয়েছে ‘গড়াই’। বিয়ের দাওয়াত রাজশাহীবাসিকে না দিলেও কিন্তু গতকাল রোববার সকালে চিড়িয়াখানার কিছু কর্মী ও সাংবাদিকের সামনে তাদের শুভদৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়ায় তাদের বিয়েও হয়। এমনকি পদ্মা-গড়াইয়ের সংসারও শুরু হয়েছে।

রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার কিউরেটর ফরহাদ উদ্দিন বলেন, দুটি নারী ঘড়িয়ালই পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছিল প্রায় ২৮ থেকে ৩১ বছর আগে জেলেদের জালে। তাদের রাজশাহী চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল। পরে শুক্রবার একটি মাদি ঘড়িয়ালকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আর ঢাকা থেকে আনা হয় একটি পুরুষ ঘড়িয়াল।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর নারী ঘড়িয়ালটির কোনো নাম ছিল না।  রাজশাহীর নারীটির নাম রাখা হয়েছে ‘পদ্মা’। আর পুরুষটির নাম দেয়া হয়েছে ‘গড়াই’। ঘড়িয়ালরা সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মিলিত হয়। মার্চ থেকে এপ্রিলে ডিম পাড়ে। প্রায় ৭০ থেকে ৯০ দিনের মাথায় ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। সে হিসেবে পদ্মা আগামী বছরের আগস্টের দিকে বাচ্চার মা হবে।

 

স/আ