পত্নীতলায় গর্ভবতী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী ও শ্বাশুড়ি আটক

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় সোমবার সকালে উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণরামপুর গ্রামে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা না করার দ্বন্দ্বের জের ধরে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্ত্তৃক হালিমা (২১) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধায় নিহত গৃহবধূর বাবা হারুন রশিদ বাদি হয়ে হালিমার স্বামী, শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে পত্নীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ী হাজেড়া খাতুনকে আটক করেছে। হালিমাকে হত্যার পর পরিবারের সদস্যরা  আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে।

থানায় প্রদত্ত এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক পূর্বে মহাদেবপুর উপজেলার চকচকি গ্রামের হারুন রশিদের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় পত্নীতলা উপজেলার দক্ষিণরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হাফিজুরের সাথে। কয়েকদিন পূর্বে থেকেই স্বামী হাফিজুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সোমবার সকালে তাঁরা পুনরায় হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বরাবরের মতোই সে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে স্বামী, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে সোমবার বিকেলে পুলিশ নিহত হালিমার স্বামী হাফিজুর ও শাশুড়ী হাজেড়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী ও শাশুড়ীকে আটক করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স/রি