নৌকা সমর্থকদের ওপর আ’লীগ সভাপতির নির্দেশে হামলা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নড়াইলের কালিয়ার হামিদপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচন চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশীদের নির্দেশে হামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় আরও অন্তত ৭ জন নৌকা সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের কালিয়া-খুলনা প্রধান সড়কের মোস্তফার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রাথী পলি বেগমের সমর্থক।

হারুন অর রশীদ নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির সমর্থিত স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী গোলাম মহম্মদের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন চাঁচুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হিরক (৪৫), পুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মনি (৫৫), ছরোয়ার হোসেন ভুইয়া (৫০), আওয়ামী লীগ নেতা এসএম মাসুদুর রহমান (৪০), নান্না মোল্যা (৫০), রওশন কাজী (৪০), সবুজ মুন্সী (৩৫),পারভেজ ভুঁইয়া (২৫) ও কুদ্দুস।

আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে সরোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও রওশন কাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত সবুজ মুন্সী জানান,ঘটনার সময় নৌকা মার্কার সমর্থকরা কালিয়া থেকে গাজীর হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বিষ্ণুপুর গ্রামের মোস্তফার মোড় নামক স্থানে পৌঁছানো মাত্রই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশীদের নির্দেশে জাকির সরদার, মিজরুল বিশ্বাস, আশরাফুল, টুটুল, রাজু, তানজির, জাকিরুল, জাফর,সোহেল ও ধলার নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। হামলাকারীরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মহম্মদের সমর্থক।

হারুন অর রশীদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি আদৌ সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার সময় আমি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। এটা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে। এখন উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নড়াইল পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, হামিদপুর নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উপজেলার ৩নং হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্যা চলতি বছর ২৫ আগস্ট নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। পরে নির্বচান কমিশন পদটি শূন্য ঘোষণা করায় এই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে নিহতের স্ত্রী পলি বেগমের বিরুদ্ধে ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গোলাম মহাম্মদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যুগান্তর