নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: আরেক আসামির স্বীকারোক্তি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার আরেক আসামি মাঈনুদ্দিন সাহেদ আদালতে  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার বিকালে জেলার ২ নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর ২টায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত হন। বিকালে আসামিকে বিচারকের সামনে উপস্থাপন করা হয়। সন্ধ্যায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সাহেদকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ নিয়ে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ৫ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। এর মধ্যে আবদুর রহিমমা মলার ২ নং আসামি। অপর ৪ আসামি ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, সাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদের যুক্ত করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে সকাল ১০টায় মামলার তিন আসামি বাদল, কালাম ও সাজুকে সঙ্গে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান। তখন পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন। তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে নির্যাতনে শিকার ওই নারীর বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে, তারা কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও গত ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে ৫ জন রয়েছেন।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন