নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কানাডায় মানববন্ধন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে অন্টারিওর প্রাদেশিক সংসদের সামনে মানববন্ধন করেছে অন্টারিও আওয়ামী লীগ।

মানববন্ধন শেষে নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড, সংসদ স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা এন্ড্রিয়া হোরওয়ার্থের সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে কানাডা আওয়ামী লীগ, অন্টারিও আওয়ামী লীগ, কুইবেক আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও কানাডা ছাত্রলীগের নেতারা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে বাংলাদেশের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নূর চৌধুরী ১৯৯৬ সালে কানাডায় উদ্বাস্তু হিসাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে। কানাডা অভিবাসন বোর্ড বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতাকে গুরুতর অপরাধ গণ্য করে ২০০২ সালে নূর চৌধুরী দম্পতির আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে আপিল করলেও উচ্চ আদালতে ২০০৬ সালে তারা হেরে যান।

কিন্তু তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। খুনি নূরকে ফেরানোর চেষ্টার অংশ হিসাবে বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে একটি চিঠি দিয়ে কানাডায় নূর চৌধুরীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু কানাডা কর্তৃপক্ষ সেসব তথ্য দিতে অস্বীকার করলে ২০১৮ সালের জুন মাসে ‘জুডিশিয়াল রিভিউয়ের’ আবেদন করে বাংলাদেশ।

এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার ফেডারেল আদালত গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। তারপরও আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, কানাডার মতো বিশ্বের অন্যতম একটি সভ্য, শান্তিপূর্ণ, আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত খুনি অবৈধভাবে অবস্থান করে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে না। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও কানাডার নাগরিক হিসাবে নূর চৌধুরীকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মিলু, আব্দুস সালাম, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে ফায়জুল করিম, নওশের আলী, কোষাধ্যাক্ষ মঞ্জুর-আল-করিম রুবেল, দফতর সম্পাদক খালেদ শামীম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হাসমত আরা জুঁই, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা ফারহানা শান্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, বিপ্লব চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ বিন্দু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, সুকমল রায়, মুশফিকুর রহমান আকন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু, কানাডা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ইমরুল ইসলাম, মোরশেদ আহমেদ মুক্তা, দফতর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল আহমেদ, সদস্য ঝুটন তরফদার, আফিয়া বেগম ও রিনা শিকদার, কুইবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদ রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সহ-সম্পাদক যথাক্রমে মেহেদি শাওন, নয়ন পাল, দফতর সম্পাদক শাকিল আহমেদ, কার্যকরী সদস্য শাকিব হাসান, জুলহাস উদ্দিন, সোহাগ হোসেন, শিহাব শাহরিয়ার ও ফাহিম মুনতাসির।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ