নুর-রব্বানী : দিনে দা-কুমড়া, রাতে গলাগলি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর এবং জিএস গোলাম রাব্বানী রবিবার দিনে একে অপরের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দেন। আর রাতেই তাদেরকে একসঙ্গে জড়াজড়ি করে আনন্দ করার একটি ছবি দেখা গেছে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর নিজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বলে রবিবার দাবি করেন। তাকে অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকেও পদত্যাগ করার আহবান জানান ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রতিবাদে নিন্দাজ্ঞাপন, ভিপি পদ থেকে নুরকে পদত্যাগের আহবান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন ডাকসুর ২৫ সদস্যের ২৩ জন। সেখানে রাব্বানী ওই আহ্বান জানান। এর জবাবে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়ে ডাকসু জিএস লজ্জায় এতদিন ডাকসুতে আসেননি। রাতের অন্ধকারে দু-একদিন এসেছেন। আজ এসেছেন। তারা ভেবেছে ভিপিকে ঠেকাতে ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছাত্রলীগের মধ্যে তো বিভেদ রাখা যাবে না। তখন তারা ঘর থেকে জিএসকেও নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ছাত্রলীগের মিথ্যা অভিযোগে আমি পদত্যাগ করবো না।

দিনের বেলায় পরস্পরের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দেখা গেলেও রাতেই দেখা গেছে আলাদা চিত্র। রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা আলিঙ্গন করেন। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনরা বলছেন,দিনে সূর্যের উত্তাপ দেখা গেল আর রাতেই চন্দ্রের নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে।

ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়া আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক লিখেছেন, তারা হাসেন, মানুষকে হাসান এবং আলোচনায় থাকেন। দুজনই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মিডনাইটের কলঙ্কিত ডাকসুর তথাকথিত ভিপি জিএস। ওই পোস্টে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান লিখেছেন, ‘আপনাদের সাথে মিশলে নুরু বিএনপি, তারেক রহমানের লোক। গণভবনে গেলে ছাত্রলীগ। আর গণফোরামে গেলে গণফোরামের লোক। আসলে নুর যাবে কোথায়?’

এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডাকসুর নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে নূরসহ দুজন নির্বাচিত হলেও জিএসসহ বাকি সবগুলো পদে বিজয়ী হয় ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরা।