নিয়ামতপুরে এক সপ্তাহে ২ হাজার ৪শ ৮৩ জন করোনা টিকা নিলেন

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড ১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে (গত রোববার পর্যন্ত) ২ হাজার ৪শ ৮৩ জন ব্যক্তি টিকা গ্রহন করেছেন।
টিকা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা করা হচ্ছে। তাই দিন দিন টিকা গ্রহনের আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। পাশাপাশি সামান্য কিছু সমস্যা ছাড়া নিবন্ধন এর কাজও চলছে সুন্দরভাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকাদান কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন, ওসি (তদন্ত) হুমায়ন কবির টিকা গ্রহন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ওই দিন সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রথম ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তারসহ অনেক ব্যক্তি করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেন। প্রথম কয়েকদিন কোভিড ১৯ টিকা গ্রহনে সাধারণ মানুষের অনাগ্রহ লক্ষ করা গেলেও দিন দিন আগ্রহ অনেক বাড়ছে। বর্তমানে নিয়ামতপুর উপজেলা নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে টিকা গ্রহনের দিক থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রচার-প্রচারনাও ভালো চলছে।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহে (৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত) নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ হাজার ৮শ ৪৬ জন টিকা গ্রহনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে গত এক সপ্তাহ গত রবিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৪শ ৮৩ কোভিড ১৯ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৭শ ৭৯জন এবং মহিলা ৭শ ৪ জন।
প্রথম দিনে কোভিড ১৯ টিকা গ্রহনকারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহে উপজেলার ২ হাজার ৪শ ৭৯ জন পুরুষ মহিলা করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ১ম দিনে আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ  অনেকেই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেছি। এই টিকায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই সাধারণ মানুষের উচিৎ এখনই সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে টিকা গ্রহন করা।
তিনি আরো বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য উপজেলার সর্বত্র মাইকিংসহ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মিদের দ্বারা প্রচার- প্রচারনা চালিয়েছি। তারপরেও অধিকাংশ মানুষদের সুরক্ষা অ্যাপ সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকায় টিকা দেওয়ার জন্য তারা সুরক্ষা অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছেন না।
স/রি