মাঝেমধ্যে দু-তিন রাত জাগা তেমন বড় বিষয় না। কিন্তু এই দু-তিন রাত যদি প্রতিরাতে পরিণত হয় তাহলে সমস্যা। রাত জাগলে একদিকে যেমন সারা দিন ঘুম ঘুম লাগে, তেমনি শরীরও খারাপ হয়। এ ছাড়া মন-মেজাজের ওপরও প্রভাব ফেলে এই রাত জাগা।
বেশিদিন ধরে একটানা রাত জাগলে একসময় ঘুমের ছন্দে পরিবর্তন আসে। পরে নতুন রুটিনে ফিরে আসা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে যাদের শিফটিং ডিউটি, তাদের রাত জাগতেই হয়। এ জন্য ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে কিভাবে রাত জাগা যায়, সে বিষয়ে জানা জরুরি।
১. রাত জাগলে পেটের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কম মসলা দেওয়া খাবার খেতে হবে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে। এ জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখুন।
২. রাত জাগার সঙ্গী হিসেবে যদি ভাজাভুজি বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান, তাহলে বিপদ হতে পারে। এতে বাড়তে পারে ওজন। পরে সেই থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
৩. জরুরি দরকার ছাড়া রাত জাগবেন না। যে কারণে রাত জাগছেন তা শেষ হয়ে গেলে ঘুমিয়ে পড়ুন।
৫. রাত জাগলে অবশ্যই সেই ঘুম পূরণ করে নিতে হবে। দুপুরে বিশ্রাম নিন, নয়তো একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠুন।
৬. ঘুমের ক্লান্তি মেটাতে মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। খুব বেশি ইচ্ছা হলে বাদাম খেতে পারেন।
৭. ঘুম কম হলে স্বাভাবিকভাবে মেজাজ খারাপ থাকে। সে ক্ষেত্রে কম কথা বলুন।
৮. ঘুমের ওষুধ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। শারীরিক পরিশ্রম করুন, ব্যায়াম করুন- এমনিতেই ঘুম চলে আসবে।
সূত্র : আনন্দবাজার