মঙ্গলবার , ১ নভেম্বর ২০১৬ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্ত করছে সরকার : রিজভী

Paris
নভেম্বর ১, ২০১৬ ৮:১২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘চাই বাক স্বাধীনতা, চাই গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি।

 

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতা বলছেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। আবার আরেকজন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আবার কেউ বলেন, ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। কোনটা ঠিক? তারচেয়ে বলুন আপনাদের নাতিনাতনি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।’

 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নির্বাচনের কথা বলে জনগণের কাছে কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে? তাদের বক্তব্যে জনগণ বিভ্রান্ত। বিভ্রান্ত তৈরি করাই আওয়ামী লীগের মুল কর্মসূচি। তারা বিভ্রান্তই তৈরি করতে চায়।’

 

সরকার নির্বাচন কমিশন ও গণতন্ত্র ধ্বংসের পর এখন বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

 

“মাননীয় প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে বলেছেন, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ চলছে। তিনি যথার্থই বলেছেন। তার ওপর যে বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ শাসক দল তাদের পক্ষে বিচারের রায় নিয়ে আসার জন্য যে চাপ প্রয়োগ করছে তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধান বিচারপতির আক্ষেপে।”

 

সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বললেও তাদের শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটেছে দাবি করে রিজভী বলেন, এই সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে অথচ তাদের সময়েই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, খুন, ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননা করে বক্তব্য এসেছে। এটি কোন ধরনের ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ?

 

জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে সরকার একেকটি ইস্যু সামনে আনে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, ‘আসলে এই ধরনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে জনদৃষ্টিকে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকায় জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ আছে তা অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া জন্য কখনো কখনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে, সংঘাত করে, মন্দির-গীর্জায় আক্রমণ করে, আবার কখনো কখনো জঙ্গিদের নামে ধর্মগুরুদের হত্যা করা হয়।’

 

রিজভী বলেন, ‘একর পর এক ঘটনা ঘটে আর আগেরটি ধামাচাপা পড়ে যায়। জনগণ বিশ্বাস করে এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে। এই জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ডে সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে।’

 

জাঁকজমকভাবে আওয়ামী লীগ তাদের জাতীয় কাউন্সিল করলেও এ নিয়ে জনগণ কোনো আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

 

“কাউন্সিল নিয়ে যে জমজমাট আসর দেখলাম, তাতে জনগণের কোনো আগ্রহ ছিল না। তাদের মধ্যে কোনো প্রভাব বিস্তার বা আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।’

 

৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে’ বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের  সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওইদিন দলে দলে জনগণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে। সমাবেশ হবেই।

 

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত মভাপতি এলবার্ট পি কষ্টার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদল নেতা আবদুল খালেক, ফারুক আহমেদ, মীর নেওয়াজ আলী, আবদুল মোনায়েম মুন্না, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স প্রমুখ।

সূত্র: রাউজিংবিডি

সর্বশেষ - রাজনীতি