‘নির্বাচন কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে আজ বঙ্গভবনের দরবার হলে ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে) নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।


রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, আইওজে চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল ৩০ মিনিটব্যাপী ওই বৈঠকে সার্চ কমিটি গঠন এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন।
আইওজে’র ইসি গঠনে বর্তমান ৫ সদস্যের পরিবর্তে ৮ সদস্যের কমিশন এবং যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছেন, জনগণ বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়। তারা বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।
সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে একটি আদর্শ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এই নির্বাচন দেশের জনগণের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নুল আবেদীন বলেন, বিএনএফ ইসি’র ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পর্যায়ক্রমে কমিশনারদের নিয়োগ দেয়াসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ তার প্রস্তাবে ইসিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) অন্তর্ভুক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন বিএনএফ সর্বদাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আশা করে।
বৈঠকে হামিদ বলেন, নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আলোচনায় তাদের গঠনমূলক বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে, যা শক্তিশালী কমিশন গঠনে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইসি গঠনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেন। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রথম তিনি বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনা করেন।
কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে।