নিরাপদ সড়কের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ সোহেল তাজের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপদের সড়ক নিশ্চিতে প্রয়োজনে তিনি সরকারকে সহায়তা করতেও প্রস্তুত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সোহেল তাজ তাঁর এ অবস্থান প্রকাশ করেন। এর আগে বুধবার রাতেও একটি পোস্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার সমালোচনা করেন তরুণ এ নেতা।

আজকের স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ লিখেন,

‘আমি আমার শিক্ষার্থী ভাই বোন, অভিভাবক এবং সকল সাধারণ মানুষের নিরাপদ সড়কের দাবির সাথে একত্মতা প্রকাশ করছি ও সমর্থন জানাচ্ছি I

নিরাপদ সড়ক এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি এবং এই বিষয় নিয়ে আমি বেশ কিছু উদ্যোগও নিয়েছিলাম I প্রয়োজনে আমি সরকারকে এর সমাধানে সহায়তা করতে প্রস্তুত I

২০১০ সালে আমি বলেছিলাম : সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের জন্য একটি নীরব সুনামি ।’

ফেসবুক স্ট্যাটাসের সঙ্গে সোহেল তাজ ২০১০ সালে তার দেওয়া বক্তব্যে যা জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে তার একটি লিংকও জুড়ে দেন।

সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় (দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিট) মাত্র দুই ঘন্টায় ৬ হাজার ৩০০ লাইক পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৯৭৩ টি। কমেন্ট করেছেন ৪২৩ জন।

এর আগে বুধবারের পোস্টে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের আক্রমণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোহেল তাজ। সেই পোস্টে তিনটি ছবি প্রকাশ করে সোহেল তাজ আক্ষেপ করে প্রশ্ন ছোড়েন, ‘এগুলো কী হচ্ছে?’

বুধবার রাতে সোহেল তাজের ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাস

প্রকাশিত তিন ছবির একটিতে দেখা যায়, কয়েকজন স্কুলছাত্রীকে লাঠি হাতে ধাওয়া করছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আরেকটিতে দেখা যায়, এক স্কুলছাত্রের কলার চেপে ধরে তাকে শাসাচ্ছেন আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা। তৃতীয় ছবিটিতে দেখা যায়, এক শিশুর গলা চেপে ধরেছেন আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশের আরেকজন কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের পাল্লা দিচ্ছিল। এসময় বাসের জন্য অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের উপর বাস উঠিয়ে দেয় চালক। এতে ঘটনাস্থলেই দুই তাজা প্রাণ ঝড়ে যায়। আহত হন আরও কয়েকজন। হতাহত শিক্ষার্থীরা  শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম সজীব।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুসে উঠে শিক্ষার্থীরা। সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের থামাতে কাজ করছে আইন শৃংখলা বাহিনী। এতে যোগ দেয় শ্রমিকরাও। সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।