নিজের ভাইয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কিনলেন এস কে সিনহা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি আত্মজীবনীর আড়ালে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক সমালোচনা করে একটি বই প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র সংবাদের শিরোনামে পরিণত হয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। এরপর থেকে অনুসন্ধানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে নিজের আপন ছোট ভাইয়ের নামে বাড়ি কিনেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ বছর জুনে তার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ নগদ টাকায় এ বাড়িটি কিনেছেন সিনহা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নথিপত্রেও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রবাসী বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এই অর্থের উৎসের সন্ধান করা জরুরি।

নিজের ভাইয়ের নামে কেনা চার হাজার স্কয়ার ফিটের তিনতলা বাড়িটিতে বর্তমানে সস্ত্রীক বসবাস করছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বাড়িটির ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির প্যাটারসন এলাকার ১৭৯ জেসপার স্ট্রিট। জানা যায়, এই বাড়িটি নগদ দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে কিনেছেন সাবেক এই বিচারপতি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

নথিপত্র ঘেঁটে এর অনেকটা প্রমাণও মিলেছে। দলিলপত্রে দেখা গেছে, এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর এ বছরের জুনে বাড়িটি কিনেছেন। ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ নগদ টাকায় এ বাড়িটি কেনেন তিনি। কাগজপত্রে ছোট ভাই বাড়ির মালিক হলেও ক্রেতার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে যেটি, সেখানে মাস দুয়েক আগ পর্যন্ত ভাড়া ছিলেন বিচারপতি সিনহা।

সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা তার বাসায় তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সিনহা।

এদিকে সিনহার বাড়ি কেনার এই অর্থের উৎস কী তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী নুরুন নবী জানান, একজন প্রধান বিচারপতির দুর্নীতি জাতির জন্য কলঙ্কের। তিনি বলেন, ক্যাশ টাকা দিয়ে সাধারণত এই দেশে বাড়ি কেনা হয় না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কোনো লেখকের বা পাঠকের লাখ লাখ কপি পিডিএফ করে আমাজন থেকে ফ্রি বিলানো হয় না। এটার পেছনে অবশ্যই কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে ছুটিতে বিদেশে চলে যান এস কে সিনহা। এরপর নৈতিক স্খলনসহ নানা অভিযোগ এনে বিচারপতিরা তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিদেশে থাকা অবস্থায়ই ১০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি।