নিজের অপকর্ম ঢাকতে আন্দোলনে নেমেছেন বাঘার বিতর্কিত আ’লীগ নেতা কুদ্দুস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় জিডি করাকে কেন্দ্র করে নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাঘার বিতর্কিত নেতা কুদ্দুস।

ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন করছেন একাধিকবার দল পরিবর্তন করা বাঘার সেই আলোচিত নেতা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ঠিকাদার) আব্দুল কুদ্দুস সরকার। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তিনি মানববন্ধন শেষে মিছিল করেন। তবে তার সাথে সরকার দলীয় কোন নেতা-কর্মী ছিল না।

জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলার মনিগ্রাম এলাকায় নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মান করতে বারণ করায় ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকারের বড় ছেলে সেলিম আহম্মেদ সরকার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদকে মারপিট করে। আর এ খবর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক এর নিষেধ উপেক্ষা করে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে বাঘা লাকি সিনেমা হলের সামনে একটি রাস্তা নির্মান এবং বাউসা মাঝপাড়া এলাকায় অপর একটি রাস্তার দুই পাশের দেড় শতাধিক সরকারি গাছ খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে উপড়ে ফেলান ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার। এ নিয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় তার নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

আর এ খবরটি প্রকাশ করেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিকসহ পত্রিকাসহ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম।

এদিকে পুর্বের দু’টি সংবাদ সকল দৈনিকে ছাপা না হলেও তার ছেলে কর্তৃক সরকারি কর্মকর্তাকে মারপিট অত:পর থানায় মামলা এ খবরটি প্রকাশ করেন বাঘার সকল সাংবাদিক।

এ ঘটনায় পূর্বের সংবাদের রেশ ধরে ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে সাংবাদিক নুরজ্জামান ও লালন উদ্দিনকে প্রথমে মোবাইলে হুমকি এরপর ২৪ তারিখ চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযমের ছেলের বৌ-ভাতে দলীয় লোকজনের সামনে নুরুজ্জামানকে প্রকাশে দেখে নেয়ার হুমকিসহ গাল মন্দ করেন তিনি।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতে বাঘা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে আব্দুল কুদ্দুস সরকারের নামে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরজ্জামান। এর ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে ভাড়াটিয়া লোক এনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন শেষে দুই সাংবাদিকের কালো হাত-ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল করেন কুদ্দুস সরকার।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি একটি মানববন্ধন ও মিছিল করেছে। তবে ঘটনাটি জানার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তার আগেই মানববন্ধন ও মিছিল শেষ হয়ে গেছে।

স/অ