নিউজিল্যান্ডে পারলে, দক্ষিণ আফ্রিকায় নয় কেন

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জেতার আগে নিউজিল্যান্ডে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকায়ও বাংলাদেশ এখনো জয়শূন্য। এবার কি ঘুচবে জয়খরা? কেন নয়। কখনো জেতা হয়নি বলে এবারও হবে না, কে বলেছে? তামিম ইকবাল তাই আশার দীপ জ্বেলেছেন, এবার ভাগ্য বদলাবে। এবার ধরা দিতেও পারে জয়।

প্রায় পাঁচ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সফরে লক্ষ্য নিয়ে কাল মিরপুরে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। তবে রেকর্ড নতুন করে লেখা যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়। নিউজিল্যান্ডে ৩০-৩২ ম্যাচ হারার পর সেখানে আমরা টেস্ট ম্যাচ জিতেছি। আশা করি, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও আমাদের এই দলটা পরিবর্তন আনবে। আত্মবিশ্বাস বিশাল পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা এমন একটা পর্যায়ে আছি, যেখানে জেতা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অবশ্যই আমরা জেতার জন্যই যাচ্ছি।’ এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তামিম বলেন, ‘রেকর্ড পরিবর্তন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। নিজেদের কন্ডিশনে ওরা খুবই ভালো দল। দশ বছর আগে হলে বলতাম, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু এখন বিষয়টা তেমন নয়। আমি অবশ্যই জিততে চাই। এরপরও ফলাফল নিজেদের অনুকূলে না এলে আমরা আরও কঠিন পরিশ্রম করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে জিততে পারি, তা বিভিন্ন ফরম্যাটে প্রমাণ করেছি।’ বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ছয়টি টেস্ট, নয়টি ওডিআই ও চারটি টি ২০ ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে। ২০০৮-এ ইস্ট লন্ডনে একটি ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। তামিম একদিকে জেতার ওপর জোর দিলেও এও বলেছেন যে, তিনি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন। তার যত চিন্তা ফিল্ডিং নিয়ে। এই বিভাগে উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তার কথায়, ‘ফিল্ডিং নিয়ে আমি সত্যি চিন্তিত। এ নিয়ে লুকানোর কিছু নেই। ফিল্ডিংয়ে আমাদের ভালো করতেই হবে। এ নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। গত কয়েক বছর ধরে ফিল্ডিং আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে আমাদের।’ ইনজুরির দরুন নিউজিল্যান্ড সফর মিস করা তামিম আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত হোম সিরিজে তিনটি ওডিআইতে যথাক্রমে ৮, ১২ ও ১১ রান করেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর