নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাল সুযোগ হারালো বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেইলএন্ডারদের চরম ব্যর্থতায় সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ৪৪৫ রান করা টাইগাররা ৪৫৮ রানেই অলআউট হয়। এর ফলে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ১৩০ রানের লিড পেয়েছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

মাত্র ১৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারানোর কারণে বড় লিডের সুযোগ হারালো টাইগাররা।

এর আগে ৬ উইকেটে ৪০১ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ যোগ হয়েছে মাত্র ৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি করেন ৮৮ রান। তার ইনিংসটি ছিল ১২ চারে সাজানো। লিটন দাস করেন ৮৬ রান। তার ইনিংসটি ছিল ১০ চারে সাজানো। এছাড়াও মাহমুদুল হাসান জয় ৭টি চারের সমাহারে করে ৭৮ রান। এছাড়াও নাজমুল হোসেন শান্ত ৭টি চার ও একটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কার সমাহারে ৭৮ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ৮৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন।

এর আগে সকালে শুরুটা ভালোই করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ-ইয়াসির আলী। মিরাজ দুবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। তার খেলার ধরণ দেখে একসময় মনে হয়েছিল খুব সহজেই তিনি অর্ধশতক পাবেন। তিনিই বাংলাদেশের ইনিংসকে আরও অনেক দূরে টেনে নিয়ে যাবেন। কিন্তু মাত্র ৪৭ রান করেই তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। টিম সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বল অযথাই খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন।

মিরাজ আউট হওয়ার পর মাত্র পাঁচ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেট জুটিতে মিরাজ-ইয়াসির করেন ৭৫ রান।

বে ওভালে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানেই অলআউট করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেছেন ডেভন কনওয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন হেনরি নিকোলস।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেটে ১৭৫ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। সোমবার ১৫৩ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করে সফরকারীরা। অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাসের অনবদ্য ব্যাটিং স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে লিড নেওয়ার সুযোগ পায়। এই লিডটা যত বড় হতো নিউজিল্যান্ডের ততই চাপ বেড়ে যেত, এতে বিদেশের মাঠিতে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক জয় পেতে ততই সুবিধা হতো।

 

সূত্রঃ যুগান্তর