নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি থেকে ১৬০ অভিবাসী গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সি থেকে ১৬০ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। নানা ধরনের অপরাধে জড়িত থাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৮৩ ও নিউ জার্সি থেকে ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আছে কিনা আইসের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। আইস পরিচালক টনি ফ্যাম জানিয়েছেন, চলতি অভিযানে দোষী সাব্যস্ত হওয়া, নানা অপরাধের সাথে জড়িত, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের টার্গেট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব অভিবাসীদের দ্বারা নারী এবং শিশুরা নানা ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর অপরাধের সাথেও জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটি এবং নিউ জার্সিতে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কয়েকজনকে অতীতে শিশু নির্যাতন, হয়রানি, যৌন ও উত্তেজিত লাঞ্ছনা, দোষ-তদন্ত, অস্ত্র লঙ্ঘন, ডাকাতি, মাদকের অভিযোগ ও মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আইস সূত্র জানায়, একজনকে ধর্ষণের জন্য ২০০৫ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুয়াতেমালার কর্মকর্তারা একজনকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরেক ব্যক্তির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভাল অপারেশনস ডিরেক্টর টমাস ডেকার নিউইয়র্ক সিটির অভয়ারণ্য শহরের অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন নিউইয়র্কে অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৮৩ জন ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি আটকদের স্থানীয় হেফাজতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক নারীসহ ১০১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। ওমনি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয় এসব বাংলাদেশিকে।

এসব বাংলাদেশিরা একেকজন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে গ্রেফতার হন। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে ডির্পোটেশন ক্যাম্পে থাকার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে কর্মীরা ফেরত গেছে।