‘নার্স পদে ৫০৫৪ জনের নিয়োগে পিএসসি সুপারিশ কেন অবৈধ নয়’

সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে রিট আবেদনকারী ৫১ জনকে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নিয়োগ বঞ্চিত ৫১ জনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার বিভ‚তি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামসাদ।

রিট আবেদনে বলা হয়, ৪ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ১৬ হাজারের বেশি আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নেন। পিএসসি ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয় ১১ হাজার ৩৫৭ জন।

এরপর সংশ্লিস্টদের সনদ যাচাই শেষে ২০১৮ সালের ১১ জুন একহাজার ১৭ জনের ফল বাতিল করে নোটিশ দেয় পিএসসি। ফলে চূড়ান্তভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয় ১০ হাজার ৩৪০ জন। এরপর এদের সকলের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে এদের মধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে ৫ হাজার এক শ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট সরকারকে সুপারিশ করে। এই সুপারিশ অনুযায়ী সরকার তাদের নিয়োগ দেয়।

আবেদনে আরো বলা হয়, গত মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য পিএসসির কাছে চাহিদাপত্র দেয়। এর আলোকে পিএসসি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট জারি করা বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। গত ৩০ এপ্রিল সরকারের কাছে এই সুপারিশ পাঠায় পিএসসি। এরপর সরকার তাদের সকলকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে অযোগ্যতার কারণে ৫ জনের আবেদনপত্র ২০১৮ সালের ১১ জুন বাতিল করেছিল পিএসসি। এ অবস্থায় ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে নিয়োগ বঞ্চিত একশ ৫৮ জনের মধ্যে মো. জাবরুল ইসলাম, আকলিমা আক্তারসহ ৫১ জন রিট আবেদন করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ