নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:


বগুড়ার ধুনট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রোজিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে রোজিনার মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুনের ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়। গত ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে রোজিনার বিয়ে হয়। রোজিনার স্বামী হাসান আলী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। রোজিনা-হাসানের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ধুনট থানায় যোগদান করেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থানা ভবনের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। স্বামী হাসান আলী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে জামাতার সঙ্গে আমার মেয়ের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জামাতা হাসান আলী বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। জামাতা চলে যাওয়ার পর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। এ অবস্থায় রোজিনা ভাড়া বাসায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, দাম্পত্য কলহের কারণে নারী পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।