রামেক হাসপাতালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে মেসে কুকীর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে মেসে নারী কর্মচারীর সঙ্গে ফূর্তি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানা জানি হলে উল্টো প্রত্যক্ষদর্শীদেরকেই নানাভাবে ফাঁসনোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার পরিচালকের কাছে এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে। বিষয়টি তদন্ত করে হাসপাতালের নার্সিং এসোসিয়েশনের পক্ষে পরিচালককে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার মন্তব্য করে তিনি এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর সঙ্গে দেখা করতে যান এক নারী কর্মচারী। এরপর নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পেছনে একটি মেসে যান তিনি। এরপর তারা দুজনে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরে ওই মেসের আরও কয়েকজন কর্মচারী মেসে গিয়ে দেখেন কক্ষের ভিতরে অপকর্ম হচ্ছে। তারা কক্ষের ভিতরে গিয়ে হাতে-নাতে দুই কর্মচারীকে আটক করেন। তবে ঘটনার পরে বিষয়টি কাউকে জানালে উল্টো আটককারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা ছাড়াও নানাভাবে ফাঁসানোর হুমকি দেন ওই নারী কর্মচারী।

হাসপাতালের একজন করমচারী অভিযোগ করে সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ওই ঘটনার পরে অপকর্মকারী নারী কর্মচারী হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় ওই নার্সদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অন্য নার্সরা। তারা ঘটনার বিচার দাবিতে ওই সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং তার নারী বান্ধবির বিচার দাবিতে পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে হাসপাতালের একজন এ্যাসোসিয়েশনের এক নেতা বলেন, আমাদের সহকর্মীদের উল্টো হুমকি দেওয়ার কারণে পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এখন পরিচালক স্যারও বিষয়টি দেখবেন।

এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই নারী এর আগেও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল। তার মিথ্যা অভিযোগের কারণে হাসপাতালের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক কর্মকর্তাকেও বদলি হতে হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ করে ওই কর্মকর্তাকে ফাঁসানো হয়। এরই মধ্যে এক নার্সের সঙ্গে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালের সকল কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
স/শ