নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার দয়ারামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সাথে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এ অভিযান চালায় থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- ফজলুল কাদের পলাশ (৩২) ও শাহেদ আহমেদ (৩২)। ফজলুল নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার দয়ারামপুর এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ও শাহেদ একই জেলার লালপুর থানার করিমপুর এলাকার মেহের আলীর ছেলে।
নগর পুলিশ জানায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার ইকরাপুর গ্রামের শ্রী নীশিত কুমার। তিনি বর্তমানে রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কাঁচা বাজার এলাকায় বসবাস করেন। নীশিত কুমার একজন ব্যবসায়ী। তিনি পূর্বে একটি এনজিওর চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন।
অপর দিকে ফজলুল নগরীর শাহমখদুম থানার আমচত্বর এলাকায় বসবাস করতেন। সেই সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়। গত ২ জুলাই সকাল ১০ টায় আসামি ফজলুল মোবাইল ফোনে ব্যবসার কথা বলে শ্রী নীশিত কুমারকে ডাকেন। তখন নীশিত কুমার ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু সময়মতো বাড়ি ফিরে না আসলে তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে কল করে ফোন বন্ধ পান। এসময় তার স্ত্রী নীশিত কুমারকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। পরে আসামিরা ফোন করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জীর পুলিশের একটি টিম অপহৃতকে উদ্ধার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে শুরু করে।
কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার দয়ারামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে নীশিত কুমার ও তার বন্ধু শহিদুজ্জামান জনিকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নীশিত কুমার ও তার বন্ধু শহিদুজ্জামানসহ তাদের আরেক বন্ধু নাজমুলকে মুক্তিপণের জন্য কৌশলে ডেকে আটকে রাখে। সেখানে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাদাবি করে। সেখান থেকে নাজমুল কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।