নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির তৈরি তালিকা বাতিল ও পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেল করেছে আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অর্ধশতাধিক আবেদনকৃত সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজাউল করিম খান। এসময় অন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুকুল সাহা, বেলায়েত হোসেনচৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হেলালহোসেনসহ সংক্ষুব্ধরা।
বক্তব্যে বলা হয়,সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নাটোর সদর উপজেলায় সাত সদস্যের কামিটি গঠনকরা হয়। সে সময় কমিটির সদস্য জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি সুজিত কুমার পরিবর্তে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এক দফা তারিখ পেছানোর পর ১১ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়। যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন, কমিটির সভাপতি জেলা কমান্ডার আব্দুর রউফ সরকার ওজামুকা প্রতিনিধি মোহিতোষ সরকারের নাম বাদ দেওয়াহয়েছে।
আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের নাম জেলা কমান্ডার ও জামুকা প্রতিনিধি হিসেবে দুই স্থানেই রাখা হয়েছে। প্রায় এক হাজার আবেদনকারির মধ্যে প্রথম দিনে কয়েকটি ইউনিয়নের বাছাই কাজ শেষ করা হয়।
পরদিন অসুস্থতার কারণে কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তারের অনুপস্থিতিতে ছয়জন সদস্যের পরিবর্তে তিন জনকে নিয়েই বিধিবহির্ভুত ভাবে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার দিন তিন ধরণের খসড়া তালিকা প্রস্তুত ও ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
ওই যাচাই বাছাই কমিটি চূড়ান্ত তালিকায় ৩৩ জনের নাম ঘোষণা করেন। আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের আপিলের সুযোগ থাকলেও লাল মুক্তিবার্তার সাক্ষী ও অর্থাভাবে অনেকেই আপিল করতে
পারবেন না। কারণ আবেদনকারী প্রায় এক হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য লাল মুক্তিবার্তার ৫০ জনকেও পাওয়া যায়নি।
তাই তারা মনেকরেন, উল্লেখিত যাচাই-বাছাই কমিটি অসম্পূর্ণ ও অবৈধ। তাদের দ্বারা প্রস্তুত তালিকা প্রত্যাখ্যান করে তারা পুনরায় যাচাই -বাছাই করার দাবি জানান। এ ব্যাপারে জানতে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের মোবাইলফোনে (০১৭১৬৬১৭১১৭) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
স/তা
