মঙ্গলবার , ৫ জুন ২০১৮ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নাটোরে বাল্য বিবাহ করলেন স্কুল শিক্ষক!

Paris
জুন ৫, ২০১৮ ৬:১২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
সারা দেশে বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সামাজিক সমস্যা বলে বিবেচিত এই বাল্য বিবাহ বন্ধে নিয়মিত প্রশাসনিক অভিযান এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বাল্য বিবাহ রোধে প্রতিটি স্কুলে শপথ গ্রহন করা হয়ে থাকে। আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে বাল্যবিবাহ পুরোদমে রোধ সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন সুধীজনেরা। তবে স্কুল শিক্ষকই যখন বাল্যবিবাহ করতে যায়, তখন বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করে সমাজকেই। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়।

উপজেলার জোনাইল এলাকার এক স্কুল শিক্ষক বিয়ে করেছেন ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বাল্য বধূকে ঘরে তুলবে ওই শিক্ষক। এর আগে গত রবিবার (৩ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে একান্ত নিকট আত্মীয়দের সাথে নিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন ওই এলাকার কাজী মো. আলাউদ্দিন প্রামাণিক।

জানা যায়, উপজেলার জোনাইল এম এল উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ও দারিকুশি গ্রামের রহিম ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) অষ্টম শ্রেণীর ক্লাশ নিতে গিয়ে নজরে পড়ে ওই ক্লাশেরই রিয়া খাতুনের প্রতি। এরপর তাকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বিয়ের প্রস্তাব দেন রিয়ার পিতা পাশ্ববর্তী চর গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল হোসেন নুরু-র কাছে। ছেলে হিসাববিজ্ঞানে মাষ্টার্স পাশ ও স্কুল শিক্ষক। অগত্যা পিতা শিক্ষিত ছেলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেনি। অবশেষে মেয়ের অমতেই জোর করে বিয়ে দেয়া হয় সাইফুল ইসলামের সাথে।

এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানান, পছন্দ হয়েছে তাই কলেমা পড়িয়ে রেখেছি। মেয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর ঘরে তুলে আনবো। তবে বিয়ের কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে যা সমাজে করতে হয় তাই তিনি সেটা করবেন বলে জানান।

এম এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশিকুর জামান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুঝতেই পারি নাই এমন ঘটনা ঘটবে। এ ঘটনার পর স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে খন্ডকালীন শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে আর স্কুলে আসতে দেয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, ওই শিক্ষক উচ্চ শিক্ষিত হয়েও দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর