নাটোরে কোচিং সেন্টারের ভুলের বলি শিশু শিক্ষার্থী

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের মেধা কোচিং সেন্টারের ভুলের বলি হয়েছে অর্পিতা দাস নামের এক শিশু শিক্ষার্থী। ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের ফরম পুরনে সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের স্থলে সরকারী বালক বিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পুরন করেছে কোচিং সেন্টারটি। যার কারনে এবারের তৃতীয় শ্রেণীতে বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন অনেকটা অনিশ্চিত হয়েছে অর্পিতা দাসের। অর্পিতা দাস শহরের দক্ষিণ চৌকিরপাড় এলাকার বিধান কুমার দাসের মেয়ে।

সূত্র জানায়, আগামী ২৩ডিসেম্বর নাটোরের দুটি সরকারী বালিকা এবং বালক বিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করবেন শিক্ষার্থীরা। এই ভর্তি যুদ্ধে উত্তীর্ণ অংশগ্রহরে জন্য অর্পিতা দাসের অভিভাবক শহরের ফৌজদারী পাড়ায় অবস্থিত মেধা কোচিং সেন্টারে ভর্তি কোচিং করান। পরে সেই কোচিং সেন্টারই সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য অর্পিতার ফরম পুরন করে দেয় মেধা কোচিং সেন্টার। কিন্তু পরে ভর্তির প্রবেশপত্র তুলে হতবাক হয়েছে তার অভিভাকরা। কারন অর্পিতার বালিকা বিদ্যালয়ের বদৌলে সরকারী বালক বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম পুরন করিয়েছে কোচিং সেন্টারটি।

অভিযোগ রয়েছে, ভর্তি ফরম পুরনের জন্য অন্যান্যে জায়গায় খরচ যেখানে ১৭০ টাকা সেখানে মেধা কোচিং এর পরিচালক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেন ৩০০টাকা করে।

অর্পিতার পিতা বিধান কুমার দাস জানান, প্রবেশ পত্র তুলে কপালে হাত পড়েছে আমাদের। মেয়ের বালিকা বিদ্যালয়ের পরিবের্ত বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম পুরন করেছে কোচিং সেন্টারটি। এ নিয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সুলতান আহমেদের কাছে যান। তিনি সব কিছু দেখে দায় চাপান অভিভাবকদের কাধে। এসময় তিনি বলেন, তারা কম্পিউটারে দেখে নেননি কেন। এখন তাদের কিছুই করার নেই। পরের বছর আবারো আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে বিদায় করা হয়।

অর্পিতার মা নিপা রানী দাস বলেন, মেয়েকে এবার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য আগে থেকেই মেধা কোচিং সেন্টারে কোচিং করিয়েছি। পরে ওই কোচিং সেন্টার থেকেই তাদের বলা হয়, এখান থেকে ভর্তিপরীক্ষার ফরম পুরন করিয়ে দেয়া হবে। পরে ৩০০টাকার বিনিময়ে ভর্তি ফরম পুরন করানো হয়।

কিন্তু আগামী ২৩ ডিসেম্বর পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য আমারা মেয়ের প্রবেশপত্র তুলে গিয়ে দেখি বালিকা বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বালক বিদ্যালয়ের ফরম পুরন করেছে তারা। এ নিয়ে প্রতিবাদও করেছি। কিন্তু কোচিং সেন্টারটি উল্টো আমাদের দোষারোপ করছে। এ খবর শুনে কান্না জুড়ে দেয় শিশু অর্পিতা। কিছুতেই তাকে থামানো যাচ্ছেনা। এখন তো অনিশ্চিত হয়ে গেল মেয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন।

তবে এবিষয়ে মেধা কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতান আহমেদ সুলতান বলেন, এটা ভুল করে হয়েছে। ভুল হতেই পারে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় অভিভাবক কেন দেখে নেয়নি। দেখে নিলে এমন সমস্যা হতো না। তাদের কোচিংয়ের সবার ফরম তারা পুরন করেছে। এতোগুলোর মধ্যে একটা ভুল কোন বিষয় না। ফরমের দাম অভিভাবককে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আগামী বছর ভর্তি পরীক্ষা দেবে।

 

স/আ