বাগাতিপাড়া সংবাদদাতা:
গত কয়েক বছর থেকেই কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় আমে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করায় একদিকে যেমন সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকি বেড়েছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষক ও সাধারন ব্যাবসায়ীরা। এসব দিক বিবেচনায় এবং ভোক্তা শ্রেণী ও ক্ষতিগ্রস্থদের লোকসানের কথা মাথায় নিয়ে চলতি মওসুমের শুরুতেই মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
বাজারে বিষমুক্ত আম সরবরাহ ও বিক্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত বছরের মতো এবারেও স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে তাতে কেমিক্যাল মিশিয়ে যাতে বাজারজাত করতে না পারে সেজন্য গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময় বেঁধে দিল প্রশাসন।
রোববার নাটোর জেলার সর্ববৃহৎ আমের আড়ত বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলায় আম ব্যাবসায়ী ও কৃষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষিবিভাগ এ সময় বেঁধে দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের পুর্বে আম সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রির চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারী দেওয়া হয় ওই সভায়।
সভায় উপজেলা কৃষি বিভাগ বাগাতিপাড়া অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহে বিভিন্ন তারিখ ঘোষনা করেন। ১৮ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রাণী পছন্দ, খিরসাপাত, লক্ষণভোগ (লকনা), ৩ জুন থেকে নাক ফজলী, তোতাপুরী ও ল্যাংড়া আম গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে পারবেন কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা।
অন্যদিকে ১৮ জুন থেকে আম্রপালি, মল্লিকা, ফজলী এবং আগামী ৩ জুলাই থেকে বারি আম-৪ ও আশ্বিণা জাতের আম সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। তবে স্থানীয় অর্থাৎ আঁটি জাতের আম আচার তৈরিতে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। ব্যাবসায়ী জামিলুর রহমান বাবু’র সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবলু কুমার সুত্রধর, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোমরেজ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, তমালতলা মোড় বাজার সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন সাধু, ফল চাষী মজনু মিয়া প্রমুখ।
স/শ