সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নাটোর সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে একসঙ্গে জন্ম নেয়া ৪ সন্তানের একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মারা যায় সে। তার নাম রাখা হয়েছিল মারিয়া। রাত ৯টার সময় নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডা. মাহবুবুর রহমান ও শিশুটির বাবা মিলন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, চার নবজাতককেই রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। জন্মের পরপরই তাদের নাম রাখা হয়েছিল মঞ্জিলা, মনিরা, শাহাদত এবং মারিয়া। উন্নত চিকিৎসা চলাকালীন মারা গেছে মারিয়া। তার ওজন ছিল ৫০০ গ্রাম।
বর্তমানে আইসিইউ’এ নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছে মঞ্জিলা, মনিরা ও শাহাদত।
বিয়ের ১১ বছর পর শনিবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে স্বাভাবিকভাবে একে একে জন্ম নেয় ৩ মেয়ে ও ১টি ছেলে।
সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দি গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন শুক্রবার (২৪ মে) রাতে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাহিদাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
ওই হাসপাতালের আরএমও ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, কৃষক দম্পতির জন্ম নেয়া ৪ শিশুর ওজন কম ছিল এবং তাদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদের মধ্যে এক শিশু সন্ধ্যার দিকে মারা যায়।
জানা যায়-সন্তান না হওয়ায় দীর্ঘদিন মিলন ও সাহিদা দম্পতি অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। ১১ বছর পর একসঙ্গে তাদের ৪টি সন্তান হওয়ায় সাহিদা-মিলন দম্পতি ও তাদের স্বজনরা খুশি হয়েছিলেন।