নাটোরের লালপুরে হেরোইন, ফেন্সিডিলসহ ৩ জন গ্রেপ্তার


নিজস্ব প্রতিবেদক:

বালু বহনকারি ডাম্পার ট্রাকের বালুর ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো এক কেজি ২৬০ গ্রাম হেরোইন ও ৪০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমাবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর থেকে বনপাড়া রাস্তায় র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল গাড়ীর মালিক নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মঠখোলা গ্রামের মৃত ইদ্রিস ফকিরের ছেলে জয়নাল হোসেন (৪২), হেলাপার একই এলাকার ছাদত আলীর ছেলে শরিফ মিয়া (৩৩) ও মৃত আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে নাজির হোসেন। এসময় তাদের কাছে থাকা এক কেজি ২৬০ গ্রাম হেরোইন, ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে প্রেস কনফারেন্সে জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক চোরাচালান করে আসছিলো । র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে নাটোর জেলার লালপুর হতে ১ টি বালু ভর্তি ডাম্পার ট্রাকে বালুর আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ বনপাড়ার দিকে আসছে।
বিষয়টি জানা মাত্রই র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে লালপুর উপজেলার গোপালপুর রেল ক্রসিং এর আনুমানিক ২০০ গজ দূরে লালপুর হতে বনপাড়াগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করে।

ওই সময় ঘটনাস্থলে ১ টি সাদা-হলুদ রংয়ের সিঙ্গেল কেবিন ডাম্পার ট্রাক আসলে থামানোর জন্য সংকেত দেওয়া মাত্রই র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন ব্যক্তি ডাম্পার ট্রাকের দরজা খুলে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে ঘটনাস্থলেই বালু ভর্তি ডাম্পার ট্রাকসহ ৩ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে, তারা সিঙ্গেল কেবিন ডাম্পার ট্রাকের মালিক, ড্রাইভার ও হেলপার। তারা সবাই সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত। রাজশাহী, নাটোর হতে তারা মাদক সংগ্রহ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মাদক পরিবহণ করে আসছে।

অভিনব কায়দায় বালুর ডাম্পার ট্রাকের ভিতরে বালুর মধ্যে লুকানো অবস্থায় তারা এই সব মাদক পরিবহণ করতো মোটা অংকের টাকা লাভের আশায়। এর আগে বেশ কয়েকবার তারা এ রাস্তায় মাদক সরবরাহ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার লালপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র‌্যাব।

এস/আই