নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৭ বাড়ি লক ডাউনে

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শরীরে উপসর্গ থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল করোনা সন্দেহে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠায়। এ ঘটনায় উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের ওই ছাত্রের বাড়িসহ আশে-পাশের ৭টি বাড়িকে লক ডাউনে রাখা হয়েছে। সেই সাথে ওই ছাত্রের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদুজ্জামান জানান, ইউএনও স্যারের নিকট থেকে অবহিত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের চিকিৎসকের একটি দল ওই ছাত্রের বাড়িতে যায়। তার শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে ওইদিন রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই ছাত্র ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।

তিনি আরও জানান, ছাত্রটি বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং গত ১৯ তারিখে সে সর্দ্দি কাশি ও জ্বর নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাগাতিপাড়ায় আসে। পরে তার শ্বাসকষ্টও শুরু হয়।

ওই ছাত্র মুঠোফোনে জানান, শনিবার রাতে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকগণ রোববার সকালে তাকে করোনা নয় বরং অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত জানিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, বাজিতপুর গ্রামের ওই ছাত্রের বাড়ি সংলগ্ন ৭টি বাড়ি কার্যত অন্য বাড়িগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ওই ৭ বাড়ির বাসিন্দাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইসোলেশন থেকে ওই ছাত্রকে বাড়িতে পাঠানোর খবরও তিনি জেনেছেন। তবে তাকে যেহেতু পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি তাই তাদের বাড়ির সব সদস্যদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।