নাচোলে আমন ধান কাটা শুরু, নায্য মুল্য নিয়ে হতাশ কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রোপা আমন ধান কাটা শুরু। আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও উঠতি বাজারমূল্য নিয়ে কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। বরেন্দ্র এলাকার নাচোলে এবছর অনাবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণ মোকাবেলার পরও এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর নাচোল উপজেলায় স্বর্ণা জাতের আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭শ’ ৮৫ হেক্টোর, ব্রী-৫১ জাতের ১১হাজার ৩শ’ হেক্টোর, ২৫-জাতের ৫শ’হেক্টোর, ৪৯-জাতের ১শ’হেক্টোর, ৩৪-জাতের ১হাজার ৩শ’ ২০হেক্টোর ও জিরাশাইলের ১হাজার, ৩শ’ ২৫ হেক্টোর এবং অন্যান্য দেশীয় জাত মিলেয়ে মোট ২২ হাজার, ৬শ’ ৭০ হেক্টোর আবাদ হয়েছে।

তবে ধার্য্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে বলে নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম সাদিকুল ইসলাম জানান। চলতি নভেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের নাচোলে পাকা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। রবি শস্য আবাদের জন্য সামান্য কিছু ধান কাটা হলেও গত রবিবার নাচোল বাজারে ধানের আড়তে নতুন ধান ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে।

এ অঞ্চলের কৃষকরা জানিয়েছেন, অন্তত ১হাজার টাকা মন দরে ধান বিক্রি করতে না পারলে এবছর ধানের উৎপাদন খরচ উঠবেনা। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)’র নাচোল জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম জানান, গভীর নলকুপের ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার(স্তর) দিন দিন নিম্নগামী হওয়ায় উপজেলায় মোট ৫শ’৪০টি গভীর নলকুপের মধ্যে ৫শ’ ১৫টি সচল রয়েছে।

বাকী ২৫টি প্রায় অকোজো নলকুপের মধ্যে ৫/৬টি নলকুপকে পানির স্তর পরীক্ষা করে ২ কিউসেক থেকে ১ কিউসেক পর্যায়ে রুপান্তর করে চালানোর চেষ্টা করছি। অন্যগুলি পুনঃখনন করার ছাড়া উপায় নেই। নাচোলে প্রায় ১ হাজারের বেশী মিনি ডিপ দিয়েও সেচ কাজ চলছে। তবে বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য বহু প্রতিক্ষিত রাবার ড্যাম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের কৃষদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

স/আ