নাইন ইলেভেনে ক্ষতিগ্রস্তরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রথমবারের মত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি ভেটোকে খারিজ করে দিয়েছে।

এর ফলে ২০০১ নাইন ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চাইলে সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।

 

এক্ষেত্রে বারাক ওবামার অবস্থানের বিপক্ষে স্বয়ং তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান, উভয় দলের সদস্যরা একাট্টা হয়ে ভোট দিয়েছেন।

 

কদিন আগেই এ সংক্রান্ত বিলটিতে ভেটো দিয়েছিলেন মি. ওবামা।

 

দেশটির কংগ্রেসে তার ভেটো খারিজ করে দেয়ার জন্যে যে ভোটাভুটি হয়েছে তাতে সিনেটে বিলটির পক্ষে ভোট দেন ৯৭ জন আর বিপক্ষে মাত্র একজন।

 

আর হাউজ অব রিপ্রেসেন্টেটিভসে পক্ষে ৩৪৮জন ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৭টি।

 

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ডেমোক্রেট দলের সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোট দিয়েছেন তিনি।

 

তিনি বলছেন, এই পরিবারগুলো কোনদিনই নিজেদের প্রিয়জনদের ফিরে পাবেনা।

 

কিন্তু তাদের ন্যায়বিচার পাবার অধিকার আছে।

 

আর সেজন্যই তিনি প্রেসিডেন্টের ভেটোকে খারিজ করে দেবার জন্য ভোট দিয়েছেন।

 

এখন দেশটিতে এই আইন পাস হয়ে গেল যাতে নাইন ইলেভেনের এর সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলো চাইলে সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।

 

সেদিন চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করেছিলো সন্ত্রাসীরা।

 

বিমানগুলোকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সংঘর্ষ ঘটানো হয়।

 

যার মধ্যে দুটি বিমান নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারের সাথে ইচ্ছাকৃত ভাবে সংঘর্ষ ঘটানো হলে ১১০ তলা দুটি ভবন মাটির সাথে মিশে যায়।

 

ঐ হামলায় সেদিন দু ঘণ্টার কম সময়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

 

এদিকে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কে বরাবরই হুশিয়ারি দিয়েছেন যে এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বয়ে আনবে।

 

কারণ এর ফলে রীতি অনুযায়ী অন্য দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যে দায়মুক্তি দেয়া হয়, সেটি আর থাকবে না।

 

ফলে অন্য দেশে কর্মরত মার্কিন বাহিনী বা কর্মকর্তাদেরও একই ভাবে বিচারের আওতায় আনার ঝুঁকি তৈরি হবে।

 

অন্যদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সৌদি বাদশাহের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিলটি পাস হলে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ তুলে নেবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা