নববধূর অপেক্ষায় পদ্মা পাড়ে উৎসুক জনতার ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে পদ্মানদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আজ রোববার (৮ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতে শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নৌকাডুবির ঘটনার গতকাল শনিবার বিকেলে নিখোঁজ নয়জনের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে আরও এক মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ডুবে যাওয়া দ্বিতীয় নৌকাটি নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমা। ফলে পদ্মা নদীর পাড়ে নববধূর উদ্ধারের অপেক্ষায় রইলো পরিবারের সদস্যরাসহ সাধারন জনগন।

এর আগে, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে রুবাইয়া আক্তার স্বর্ণার (১২) মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। জাল ফেলা হলে তার মরদেহ উঠে আসে। রুবাইয়ার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়ায়। সে কনের ফুপাতো বোন এবং অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহীর চারঘাটে আরও একটি মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহটি নিখোঁজ নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার খালা আঁখি খাতুনের (২৫) বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম।

আঁখি খাতুনের বাবার নাম আবুল হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। আঁখি খাতুনের স্বামীর বাড়ি মহানগরের ভাটাপাড়ায়। তার নাম আসাদুজ্জামান জনি। তিনি হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।

এই নিয়ে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। শুধু এখনো নিখোঁজ আছেন নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমা।

এদিকে সর্বশেষ ব্যক্তিটিকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর পদ্মানদীতে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম।

অপরদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রাজশাহীর চারঘাট থেকে মনি বেগম (৩৫) নামে এক নারী, দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এখলাস হোসেন (২২) ও দুপুর আড়াইটার দিকে রতন আলী (৩০) নামে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পদ্মানদীতে ঘটনাস্থলের পাশেই এ দু’জনের মরদেহ ভেসে উঠে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে ডুবুরিরা পানির নিচ থেকে শামীম হোসেন (৩৭) ও তার মেয়ে রোশনি খাতুনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।