নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনশন চলছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ বুধবার চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন পালন করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আশ্বাস প্রত্যাখ্যানের পর শিক্ষকদের এখন একটাই বক্তব্য—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দাবি পূরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলবে। তাঁদের ভাষায়, প্রয়োজনে তাঁরা জীবন দেবেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে একই দাবিতে একই স্থানে টানা পাঁচ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আজ সকাল সোয়া ১০টার সময় অনশনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অনশনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ শিক্ষকই ফুটপাত ও প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার একটি অংশে শুয়ে আছেন। কয়েকজন স্যালাইন নিয়ে শুয়ে আছেন।

ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবীকেও স্যালাইন নিয়ে অনশন পালন করতে দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জীবন গেলেও দাবি পূরণ ছাড়া এখান থেকে যাবেন না। পাশেই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে ঘোষণা এলেই কেবল তাঁরা অনশন ভাঙবেন।

অন্যদিক, প্রেসক্লাবের আরেক পাশে মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ওই সব মাদ্রাসাশিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি তৃতীয় দিনের মতো চলছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা বক্তব্য দিয়ে তাঁদের নানা দাবির কথা জানাচ্ছেন।

একটি স্কুল জাতীয়করণের দাবি
এদিকে প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশে কুষ্টিয়ার কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়া জেলা সমিতি। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, ইতিহাসখ্যাত এই বিদ্যালয় ১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারসহ অনেক গুণী মানুষ এখানে পড়াশোনা করেছেন।

২০০৮ সালে প্রথমে যে ৬০টি স্কুল সরকারিকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে এই স্কুলের নামও ছিল। কিন্তু পরে অজানা কারণে সেটা আটকে যায়। মানববন্ধনে অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী আখতার হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সভাপতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

 

প্রথম আলো