সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে স্থাপনা নির্মাণের কাজে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়ে, তার অন্যতম হলো মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা ইট।
এই ইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় টপ সয়েল বা ভূস্তরের একেবারের উপরের দিকের মাটি, আর পোড়ানো হয় ব্যাপক পরিমাণ জ্বালানী কয়লা, গ্যাস ও বন উজাড় করে কাঠ ব্যবহার করা হয়। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা যেমন কমছে, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর পরিচালক মোঃ আবু সাদেক বলছিলেন বিকল্প নির্মাণ উপাদান বলতে নন ফায়ার ব্রিকস বা ব্লক কে বোঝানো হচ্ছে।
মি. সাদেক বলছিলেন “এতে কোন জ্বালানী লাগবে না। কৃষি জমির মাটি রক্ষা হবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে সেটাও রক্ষা পাবে”।
বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই, আর সেই তারই সূত্র ধরে বিকল্প প্রযুক্তি এবং উপাদান ব্যবহার করে কীভাবে টেকসই স্থাপনা গড়ে তোলার পদ্ধতি সবার কাছে পৌঁছে দেয়া যায়, তা নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা হবে আজ।
মি.সাদেক বলছিলেন “ বড় বিকল্প হল রিভার ড্রেজিং এর মাটি। প্রতি বছর নদীর নাব্যতার জন্য নদী খনন করা হয়। এই মাটি ইট তৈরির জন্য ব্যাবহার করা যেতে পারে”। এই বিকল্প প্রযুক্তি চিন্তা ভাবনার শেষে সীমিত ক্ষেত্রে প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে।
এবং ২০২০ সালের মধ্যে টপ সয়েল বা ভূস্তরের একেবারের উপরের দিকের মাটির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় আনার আশা করছেন তারা।
সূত্র: বিবিসি নিউজ