নদীতে ভেসে উঠল ২০ যুদ্ধজাহাজ


সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপ। এতে গত এক শতাব্দীর মধ্যে দানিয়ুব নদীর পানি পৌঁছেছে সর্বনিম্ন স্তরের একটিতে। ফলে সার্বিয়ার বন্দর শহর প্রাহোভোর কাছে ভেসে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া কয়েক ডজন জার্মান যুদ্ধজাহাজ। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে দানিয়ুব নদীর তীরে নাৎসি জার্মানির কৃষ্ণসাগর বহরের শত শত যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। পানি কমে যাওয়ায় ভেসে ওঠা এসব যুদ্ধজাহাজ সেই বহরের অংশ ছিল।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে ইউরোপজুড়ে সৃষ্ট চলতি বছরের খরায় ভেসে ওঠা এসব যুদ্ধজাহাজের অনেকগুলোতে এখনও কয়েক টন করে গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে। ফলে এই রুটে নৌ-চলাচল এখন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এমনকি পানির স্তর কম থাকলে এখনও ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ এই নদীপথে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।

ডুবে যাওয়া এসব জার্মান যুদ্ধজাহাজ সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন প্রাহোভোর প্রবীণ নাগরিক ভেলিমির ট্রাজিলোভি (৭৪)। তিনি বলেন, ‘ডুবে যাওয়া জার্মান জাহাজের এই বহর একটি বড় পরিবেশগত বিপর্যয় রেখে গেছে, যা প্রাহোভোর মানুষকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’

এ ছাড়া এসব জার্মান জাহাজের কারণে স্থানীয় মাছ ধরা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন রোমানিয়া থেকে আসা ব্যক্তিরাও। মূলত নদীর ঠিক ওপারেই রোমানিয়ার অবস্থান।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, মাসের পর মাস ধরে চলে আসা খরা ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দানিয়ুব নদীপথে নৌ-চলাচল কার্যত থমকে গিয়েছে। এতে করে জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের এক অংশ থেকে অন্য অংশে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবশ্য সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ দানিয়ুবের নৌ-চলাচলের লেনগুলো চালু রাখার জন্য ড্রেজিং করছে। তবে দানিয়ুব নদীতে ডুবে থাকা কিছু জার্মান জাহাজ নৌচলাচলের অংশটি ১৮০ মিটার থেকে মাত্র ১০০ মিটারে সঙ্কুচিত করে দিয়েছে।

সূত্র: আমাদের সময়