নগরীর দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার, অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি দল নগরীর অভয়ের মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।  এসময় অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আরাফাত (১৯) ও আতিকুর রহমান আতিক ওরফে রতন (২৫)। আরাফাত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার চকপাহাড় গ্রামের আশরাফুলের ছেলে ও আতিকুর রহমান রাজশাহী নগরীর দামকুড়া থানার জাঙ্গালপাড়ার শাহিনের ছেলে।

নগর পুলিশ জানায়,, নগরীর শাহমখদুম থানার ফুচকিপাড়ার ১৭ বছর বয়সী একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১৬ এপ্রিল সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শাহমখদুম থানায় তারা একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

এরই প্রেক্ষিতে শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার  নূর আলম সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি দল রোববার দিবাগত ভোররাত পৌনে ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরাফাতকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার হয়। আরাফাতের দেয়া তথ্যমতে অপর আতিকুর রহমানকে সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় রাজশাহী কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা আরও ২-৩ জনের সহযোগিতায় ওই কলেজ ছাত্রীকে গত ১৬ এপ্রিল শাহমখদুম থানার অভয়ের মোড় হতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে রাজশাহী কোর্টে নিয়ে যায়।

সেখানে আতিকুর রহমান ভুয়া কাজী সেজে তাদের বিয়ে দেয়। এরপর আসামি আরাফাত সেই কলেজ ছাত্রীকে তার নিজ বাড়িতে রেখে বিয়ের প্রতারণা করে ধর্ষণ করে আসছিল। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।